করিমগঞ্জ (অসম), ৪ আগস্ট (হি.স.) : দক্ষিণ করিমগঞ্জের বারইগ্রাম পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর কাঁঠালগুল এলাকার একমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৬৭৪ নম্বর কাঁঠালগুল এলপি স্কুল। এই স্কুল ছাড়া বৃহত্তর এলাকায় আর কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। কচিকাঁচা শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার একমাত্র ভরসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অন্য স্কুলের সঙ্গে সরকারের একত্রীকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন স্থানীয় জনগণ।
দক্ষিণ করিমগঞ্জ শিক্ষা খণ্ডের অন্তর্গত ৬৭৪ নম্বর কাঁঠালগুল এলপি স্কুলটি প্রায় চার/পাঁচ কিলোমিটার দূরবর্তী জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি স্কুলের সঙ্গে একত্রীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কাঁঠালগুল এলাকার শিক্ষাদরদি জনগণ সরকারি এই সিদ্ধান্ত কোনও অবস্থায় মেনে নিতে পারছেন না। স্কুলের কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৬৭৪ নম্বর কাঁঠালগুল এলপি স্কুলের সামনে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয় জনতা। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বৃহত্তর কাঁঠালগুল এলাকার প্রায় চার/পাঁচটি গ্রামের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই স্কুল। যে স্কুলের সঙ্গে এই স্কুলটি একত্রীকরণ করা হয়েছে, সেই স্কুলে যেতে হলে প্রথমে রেলওয়ে লাইন, তার পর জাতীয় সড়ক পাড়ি দিতে হবে। যা কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এমতাবস্থায় একত্রীকরণের নামে স্কুলটি উঠিয়ে নিলে গ্রামের ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়বে। কারণ আর্থিকভাবে অনগ্রসর এই সব প্রত্যন্ত এলাকার অভিভাবকদের কাছে অর্থের অভাব তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
একে-তো প্রত্যন্ত এলাকা, তার ওপর আর্থিকভাবে অনগ্রসর এই সব গ্রামের কচিকাঁচা শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, স্কুল একত্রীকরণের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. রণোজ পেগুর আন্তরিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বৃহত্তর কাঁঠালগুল এলাকার খেটেখাওয়া অভিভাবক সহ শিক্ষাদরদি নাগরিককুল।

