ক্রিকেটারের কাগজপত্রে গরমিল, টিসিএ-কে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ আগস্ট।। আশিস যাদব। এই ক্রিকেটারের জারিজুরিও অবশেষে ধরা পড়ে গেল। বিগত কয়েক বছর ধরে সে টি সি এ-‌র চোখে ফাঁকি দিয়ে একের পর এক আসরে খেলে যাচ্ছিলো। আর এর জন্য দায়ী টি সি এ-‌র বিগত দিনে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই। বহিরাজ্যের এই ক্রিকেটারকে স্থানীয় ক্রিকেটার বানিয়ে দেদার খেলিয়ে চলেছিলেন তারা। তবে এবার আর হলো না। ঝোলা থেকে বেরিয়ে এলো বেড়াল। টি সি এ-‌র বর্ত্তমান টুর্নামেন্ট কমিটির শ্যান দৃষ্টি থেকে বাঁচতে পারলো না এই বহিরাজ্যের ক্রিকেটার। এবারও আসন্ন টি 20 ক্লাব ক্রিকেটে স্থানীয় একটি ক্লাবের হয়ে সই করেন এই বহিরাজ্যের ক্রিকেটার। তবে আদতে সে কিন্তু স্থানীয় নয়। তার কাগজপত্র দেখে তা ধরে ফেললো টি সি এ-‌র টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্যরা। যদিও ভুয়ো যাবতীয় সব কাগজ এই ক্রিকেটার বের করে ফেলেছে। তবে মার খেয়ে গেল রেশন কার্ডে। রেশন কার্ড আর ডুপ্লিকেট করতে পারলো না। এবার ধরা পড়লো সে।  বহিরাজ্যের ক্রিকেটার হয়ে সে স্থানীয় বনে রাজ্যের লোক্যাল বয়দের জায়গা নিতে চেয়েছিল। তবে তা আর করতে পারলো না এই ক্রিকেটার। তার সব কারিগরি ধরে ফেললো টি সি এ-‌র টুর্নামেন্ট কমিটি। এখানেই শেষ নয়, ক্লাব ক্রিকেটে খেলার জন্য এই আশিস যাদব যে বাবার টি সি জমা দেয় সেই টি সি এতে তাতেও ছিল ভুল। এতে ঠিকানা তার লেখা বনমালীপুর। অথচ এই পি আর টিসি তার ইস্যু হয় মোহনপুর সাব ডিভিশন থেকে। এটা কি করে সম্ভব। এই নিয়ে টিসিএর তরফে একটি কমিটি মোহনপুর সাব ডিভিশনে যোগাযোগ করলে তারা জানতে পারে, মোহনপুরে এই সংক্রান্ত কোনো পি আর টি সি-‌র সিরিয়াল নাম্বারই নেই। এতে তো সব কিছু আরও জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। এই ক্রিকেটার যে সম্পূর্ন ভাবে বহিরাজ্যের। স্থানীয় হলো সে কিভাবে। এই ইস্যু নিয়ে এখন টি সি এ-‌তে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত:‌ এবছরও শান্তিরবাজার মহকুমার হয়ে খেলেছে আশিষ বলে জানা গেছে।