করিমগঞ্জের গিরীশগঞ্জ-ফকিরাবাজার পূর্ত সড়ক সংস্কারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও বিভাগীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ এলাকাবাসীর

করিমগঞ্জ (অসম), ৩০ জুলাই (হি.স.) : উত্তর করিমগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নয়াগ্রাম, বড়শিলা, সারংদেওপুর, মহিশাসন, সুতারকান্দি, মাইজগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বেহাল পূর্ত সড়কগুলি সংস্কারের বিধায়ক বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী জনগণের। তাঁদের অভিয়োগ সরকারি উদাসীনতায় গিরীশগঞ্জ-ফকিরাবাজার পূর্ত সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়ে।

চলাচলের অনুপোযুক্ত সড়কের বেহাল দশা নিয়ে একাধিকবার বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েও বিফল হন ভুক্তভোগী জনগণ। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ছোটান স্থানীয় বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। বেহাল সড় সংস্কারের ব্যাপারে তাঁর ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

তাঁদের বক্তব্য, মাত্র দু-বছর আগে এই সড়কের সংস্কারকাজ হয়েছিল। কিন্তু কাজের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের হ‌ওয়ায় সড়কের মধ্যে অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী সহ সাধারণ নাগরিকদের সড়কে দিয়ে পায়ে হেঁটে চলা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফকিরাবাজার থেকে গিরীশগঞ্জ পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই পূর্ত সড়কের সিংহভাগ অংশের হাল বেহাল হয়ে পড়েছে।

ফকিরাবাজার থেকে বড়শিলা পর্যন্ত পূর্ত সড়কের হাল সবচেয়ে বেশি খারাপ। সড়কের সংস্কারকাজ চলাকালীন স্থানীয় সচেতন মানুষ কাজের গুণগত মান নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু বিভাগীয় কর্মকর্তা সহ কাজের ঠিকাদার জনৈক মুহিবুর রহমান তাঁদের কোনও অভিযোগে কর্ণপাত করেননি। সড়কের সংস্কারকাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হ‌ওয়ায় বছরের মধ্যেই সড়কটি চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে গিরীশগঞ্জ থেকে বড়শিলা পর্যন্ত সড়কের ব্ল্যাকটপিং উঠে গেছে। ব্ল্যকটপিং উঠে যাওয়ায় সড়কের মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে রীতিমতো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটির এহেন অবস্থায় নয়াগ্রাম, বড়শিলা, সারংদেওপুর সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই ভুক্তভোগী হাজার হাজার জনগণের কথা চিন্তা করে গিরীশগঞ্জ-ফকিরাবাজার পূর্ত সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও বিভাগীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার মানুষ।