সংসদ চত্বরে ৫০ ঘণ্টা অবস্থানে সাসপেন্ড সাংসদরা, মৌসম বললেন ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই

নয়াদিল্লি, ২৮ জুলাই (হি.স.): কেন্দ্রীয় সরকারের ‘স্বৈরাচারী আচরণ’, মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্যপণ্যের ওপর জিএসটির প্রতিবাদে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধীমূর্তির নীচে ৫০ ঘণ্টার জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেলন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। টানা ৫০ ঘন্টা দিন-রাত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। বৃহস্পতিবার সকালে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তা ছেত্রী, মৌসম বেনজির নুর, আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং প্রমুখরা।

বিরোধী সাংসদরা ক্ষমা চাইলেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করা যেতে পারে, ইতিমধ্যেই এমনটা জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নুর বলেছেন, “ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সংসদে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করতে চাই, কিন্তু আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমাদের ৫০ ঘন্টার বিক্ষোভ বাইরেই চলবে।” আবার শান্তা ছেত্রী বলেছেন, “আমরা কোনও ভুল করিনি, তাই ক্ষমাও চাইব না। দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই বিষয়গুলি আমরা উত্থাপন করেছি। দেশ মূল্যবৃদ্ধিতে ভুগছে এবং এই বিষয়টি উত্থাপন করা ভুল নয়।”

প্রসঙ্গত, অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ২০ জন সাংসদকে। এই সপ্তাহের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সাত জন— দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমূল হক এবং শান্তা ছেত্রী। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কানিমোঝি-সহ ডিএমকের ছয়, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির তিন, সিপিএমের দুই, সিপিআইয়ের এক এবং আম আদমি পার্টির এক জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *