নয়াদিল্লি, ২৩ জুলাই (হি.স.): মামলার তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই, এবার এই অভিযোগ তুলে জেলের মধ্যেই অনশন শুরু করল ইয়াসিন মালিক। শনিবার সকালে দিল্লির তিহার জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে তিহাল জেলে সে অনশন শুরু করেছে। শীর্ষ জেল কর্তারা হস্তক্ষেপ মালিকের সঙ্গে কথা বলে অনশন প্রত্যাহার করার জন্য কথা বলেন। কিন্তু সেই রাজি হয়নি। সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়েছে কাশ্মীরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করে। কিন্তু ইয়াসিনের আইনজীবী মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবনের আর্জি জানিয়েছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ২০১৯ সালে ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করেছিল। এক বছর পরে ২০২০ সালের মার্চ মাসে মালিক এবং তার ছয় সহযোগীকে রাওয়ালপোরায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৪০ জন সদস্যের উপর হামলার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কাশ্মীরে অচলাবস্থা ও সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর জন্য আর্থিক সাহায্য ও তহবিল তৈরির অপরাধে চলতি বছরের ২৫ মে তাকে বিশেষ আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। ১০ মে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন ( ইউএপিএ)-এর অধীনে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিল কাশ্মীরের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। ইয়াসিন মালিককে যাতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সেই দাবি জানায় এনআইএ। যদিও আদালতকে সাহায্যকারী আইনজীবী ইয়াসিন মালিকের জন্য যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজার দাবি জানান।