একাধিক দাবি আদায়ে রাণীবাড়ি-কদমতলা সড়ক অবরোধ

আগরতলা, ২২ জুলাই : বিদ্যুৎ পানীয় জল, রাস্তাঘাট সংস্কার সহ অন্যান্য বেশ কিছু মৌলিক দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে রানীবাড়ি চা বাগানের শ্রমিকরা  রানীবাড়ী-কদমতলা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন চা বাগান শ্রমিকরা। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা অবরোধের পর জেলা পরিষদের সদস্যের আশ্বাসে অবরোধ মুক্ত হয় রাস্তা। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লকের অধীন রানিবাড়ি চা-বাগান এলাকায়।

চা বাগান শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ দেড় মাস যাবত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় বসবাস করছেন উক্ত এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার। বিদ্যুৎ নিগম এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের নিকট বারবার জানানোর পরও কোন সুরাহা নেই বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। অপরদিকে রানীবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাইছড়ি এক নং ওয়ার্ড এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। পানীয় জলের রয়েছে তীব্র সংকট। জলের ব্যবস্থায় ডিপ টিউবওয়েল বসানো হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় সেটিও বিকল।

বাগান চা শ্রমিকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, তাদের দৈনিক হাজিরা ১৮৬ টাকা। এদিকে প্রথম করোনা কাল শুরু হওয়ার পর রানিবাড়ি থেকে কদমতলা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পথের গাড়ি ভাড়া ৪০ টাকা করে দিয়েছে বিএমএস কর্তৃপক্ষ। এমতাবস্থায় ১৮৬ টাকা দৈনিক হাজিরা পেয়ে কিভাবে স্কুল পড়ুয়ারা যাতায়াত করবে। তীব্র সংকটে চা শ্রমিকরা।

তাদের বক্তব্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ শেষ হয়ে চতুর্থ ঢেউয়ের দিকে এগোচ্ছে দেশের সাথে রাজ্য। মাঝখানে অনেকদিন ফাকা গেলেও গাড়ি ভাড়ার কোন কমতি করেনি। বিভিন্ন দিক থেকে নিরুপায় হয় অবশেষে শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে পথ অবরোধে বসে স্থানীয় চা শ্রমিকরা। চলে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কদমতলা থানার পুলিশ।

পরে খবর পেয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সদস্যা তথা কুর্তি কদমতলা মন্ডল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অঞ্জনা চক্রবর্তী অবরোধ স্থলে উপস্থিত হয় চা শ্রমিকদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথেও কথা বলেন তিনি। পরে অঞ্জনা চক্রবর্তী চা শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন আধ ঘন্টার মধ্যে এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা হবে।

পাশাপাশি আরো অন্যান্য সমস্যাগুলো ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ইতিমধ্যে সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি। এই আশ্বাসে আশ্বস্ত হয় চা শ্রমিকরা দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর পথ অবরোধ মুক্ত করেন। সমস্ত সমস্যার সমাধান না হলে চা বাগান শ্রমিকরা ফের যেকোনো সময় আরো বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *