BRAKING NEWS

Arrest:কাটোয়া মাদক কাণ্ডে কলকাতা থেকে গ্রেফতার ভিন রাজ্যের ২

কাটোয়া, ১৭ জুলাই (হি.স.) : কাটোয়া থেকে ধৃত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর সঙ্গে এবার মণিপুর যোগ পেলেন তদন্তকারীরা।তাদের জেরা করে রবিবার ভোরে দমদমের কাছে নারায়ণপুরের ফ্ল্যাট থেকে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ । তাদের আদি বাড়ি মণিপুরে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর বাড়িতে চলা হেরোইন তৈরির ইউনিটেরই সদস্য এই ২ জন। ধৃতদের নাম সাজিদ হাসান এবং সমরজিৎ সিং। এদের বাড়ি মণিপুরে। দমদমের কাছে নারায়ণপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে তারা থাকত। এদের মাধ্যমেই কাটোয়া থেকে কলকাতায় হেরোইন পাচার হত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে এসটিএফ। এই মাদক কাণ্ডে জড়িত ধৃত মোট ৬ জনকে আজ পেশ করা হবে আদালতে।

উল্লেখ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামে হানা দিয়ে চোখ একেবারে কপালে উঠেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফের দুঁদে গোয়েন্দাদের। গ্রামের নির্জন জায়গায় বিলাসবহুল বাড়ির আড়ালে এ তো একেবারে মাদকের ভাণ্ডার। বাড়ির মালিক প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী গোলাম মুর্শেদ। কয়েক বছর আগে অবসরের পর এখানে বাড়িটি তৈরি করে মুর্শেদ। তাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তার সঙ্গে আরও তিনজন – আঙুর আলি, মিনারুল শেখ ও মিঠুন শেখকেও গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে আঙুর আলি ও মিনারুলের বাড়ি নদিয়ায়। মরফিন উদ্ধার করে এসটিএফ। এই মরফিন শুকিয়েই হেরোইন তৈরি করে তা সরবরাহ করত গোলাম মুর্শেদ ও সহকারীরা। গোটা কারবারই চলত বেআইনিভাবে। এদিন ধৃতদের গ্রেফতর করে এই মাদক চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। জেরার মুখে পড়ে তারা অনেক তথ্যই কবুল করেছে বলে দাবি এসটিএফের। সেই সূত্রেই রবিবার ভোরে এসটিএফ নারায়ণপুরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে সাজিদ ও সমরজিৎকে গ্রেফতা করে।

এসটিএফ সূত্রে খবর, এই দু’জন নারায়ণপুরের যে ফ্ল্যাটে থাকত, সেটি প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী গোলাম মুর্শেদের ভাইয়ের। এখন মুর্শেদের ভাইও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও তার কোনও প্রমাণ হাতে আসেনি তদন্তকারীদের। মুর্শেদের ভাইয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে। সূত্রের আরও খবর, আজ ৬ জনকে একসঙ্গে আদালতে পেশ করা হবে। ১৪ দিনের জন্য তাদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে এসটিএফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *