নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুলাই৷৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে শ্রমিক-কৃষকের গৌরবজনক ভূমিকা ও আরএসএস-এর স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা -শীর্ষক ৫টি বামপন্থী শ্রমিক-কৃষক সংগঠনের যৌথসভা শনিবার ধর্মনগরে অনুষ্ঠিত হয়৷ শনিবার সারাভারত কৃষকসভা, ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন, ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদ, ত্রিপুরা তপশীলি জাতি সমন্বয় সমিতি এবং সিআইটিইউ ধর্মনগর মহকুমা কমিটির যৌথ উদ্যোগে সিপিআই (এম) ধর্মনগর মহকুমা দপ্তরে এক হলসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন সারা ভারত কৃষকসভার প্রবীণ নেতৃত্ব অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী আন্দোলনের নেতা ভোলানাথ চ্যাটার্জী এবং সিআইটিইউ ধর্মনগর মহকুমা সভানেত্রী দিপ্তী দে৷ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কৃষকসভার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পবিত্র কর৷ প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন সারাভারত কৃষকসভার রাজ্য সহ সভাপতি মতিলাল সরকার৷ সারা ভারত কৃষকসভার ধর্মনগর মহকুমা সম্পাদক রতন রায় ’স্বাধীনতা সংগ্রামে শ্রমিক-কৃষকের গৌরবজনক ভূমিকা ও আরএসএস-এর স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা ’ -শীর্ষক ধর্মনগর মহকুমা ভিত্তিক আগামী ২৭ জুলাই যৌথ সেমিনার এবং ৮ই আগষ্ট ৯ই আগষ্টের ’ ভারত ছাড়ো ’ বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে স্মরণে রেখে ধর্মনগর মহকুমা ভিত্তিক মিছিল জমায়েতের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করেন৷ প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন, ত্রিপুরা ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের ধর্মনগর মহকুমা সম্পাদক হরকুমার নাথ, সিআইটিইউ ধর্মনগর মহকুমা সম্পাদক নিরঞ্জন দেবনাথ, ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের ধর্মনগর মহকুমা সম্পাদক প্রসন্ন ত্রিপুরা, ত্রিপুরা তপশীলি জাতি সমন্বয় সমিতির ধর্মনগর মহকুমা সম্পাদক প্রমোদ মালাকার, সারাভারত কৃষকসভার রাজ্য পরিষদের সদস্য অভিজিৎ দে, ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সহসভাপতি দূর্গেশ রায় এবং সিআইটিইউ রাজ্য সহসভাপতি অমিতাভ দত্ত৷
সভায় উপস্থিত সকলে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করেন৷ পবিত্র কর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, স্বাধীনতার অমৃত উৎসব নাম দিয়ে বিজেপি আরএসএস এবং কেন্দ্রীয় সরকার ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস মুছে দিতে চাইছে৷ অথচ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিজেপি আরএসএস বা জনসংঘ দলের কোন ভূমিকা নেই৷ স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে একজন বিজেপি, আরএস-এর নেতা-কর্মীর নাম খুঁজে পাওয়া যাবেনা৷স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস সিপাহী বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, শ্রমিক-কৃষক বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন, মহাত্মা গান্ধী’র অসহযোগ আন্দোলন, জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্যই ৫টি সংগঠন যৌথ আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে৷ কর্মসূচী সফল করার জন্য ৫টি সংগঠনের পাশাপাশি অন্যান্য শ্রেণী ও গণসংগঠনগুলোকে ও যথাযথ ভূমিকা নিতে অনুরোধ করেন৷ মতিলাল সরকার বলেন, শ্রমিক-কৃষক সহ অন্যান্য স্বাধীনতাকামী মানুষের মরণজয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের পরই দেশে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠিত হয়৷ বিজেপি সংবিধান মানেনা৷ গণতন্ত্র মানেনা৷ ধর্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করেনা৷ সংবিধানের নির্দেশ অবমাননা করেছে বারবার৷ সংসদের ভিতরে সংবিধানকে পদদলিত করেছে বহুবার৷ বিজেপিকে হটাতে আগামীদিনের প্রতিটি আন্দোলন কর্মসূচীতে ব্যাপক জমায়েতের ডাক দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ প্রবীণ নেতা মতিলাল সরকার৷
2022-07-16

