পৃথক কমতাপুর রাজ্য ও ভূমিপুত্র কোচ রাজবংশীদের জনজাতিকরণের দাবিতে ২৫ জুলাই ৮ ঘণ্টার কমতাপুর বনধ

২ আগস্ট ১২ ঘণ্টার রাস্তারোকোর ডাক কোচ রাজবংশী জাতীয় পরিষদের

বঙাইগাঁও (অসম), ১৪ জুলাই (হি.স.) : কমতাপুর রাজ্য ও ভূমিপুত্র কোচ রাজবংশীদের জনজাতির স্বীকৃতির দাবিতে আগামী ২৫ জুলাই ৮ ঘণ্টার কমতাপুর বনধের ডাক দিয়েছে কোচ রাজবংশী জাতীয় পরিষদ। কেবল তা-ই নয়, একই দাবির ভিত্তিতে ২ আগস্ট ১২ ঘণ্টার রাস্তারোকোরও ডাক দিয়েছে সংগঠন, জানিয়েছেন কোচ রাজবংশী জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রয়।

বিশ্বজিৎ জানান, গত ১০ জুলাই সিদলসতী জগদ্বাত্ৰী মন্দির প্ৰেক্ষাগৃহে কোচ রাজবংশী জাতীয় পরিষদের সভাপতি বিমলকুমার বৰ্মণের পৌরোহিত্য অনুষ্ঠিত কার্যনিৰ্বাহক সভায় বেশ কয়েকটি প্ৰস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ রয় বলেন, অসম এবং কেন্দ্ৰে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে। তার পরও কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং জনজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এতে জনগোষ্ঠীটির সঙ্গে চরম প্ৰতারণা করার পাশাপাশি নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্ৰ করছে সরকার, বলেন ক্ষুব্ধ বিশ্বজিৎ।

রাজ্য এবং কেন্দ্ৰীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠীর অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবির ভিত্তিতে তাঁদের ধারা আন্দোলনের কর্মসূচির তথ্য দিয়েছেন তিনি। কার্যনিৰ্বাহক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথক কমতাপুর রাজ্য গঠন এবং জনগোষ্ঠীকে জনজাতিকরণের দাবিতে আগামী ২৫ জুলাই সকাল ৬-টা থেকে ২-টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টার বৃহত্তর কমতাপুর এলাকায় সৰ্বাত্মক বনধ, ২ আগস্ট ভোর ৫-টা থেকে বিকাল ৫-টা পর্যন্ত রাস্তারোকো এবং ১০ আগস্ট ভবিষ্যৎ কাৰ্যপন্থা গ্ৰহণের উদ্দেশ্যে বঙাইগাঁও শহরে কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠীয় বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

কেএলও কর্তৃক উত্থাপিত কমতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিকে শান্তিপূৰ্ণ স্থায়ী সমাধানে কেন্দ্ৰীয় সরকার, অসম সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে উচ্চস্তরীয় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত করার দাবি জানিয়েছেন কোচ রাজবংশী জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রয়। জানান, শীঘ্র অন্তর্বৰ্তীকালীন কমতাপুর স্বশাসিত পরিষদ (কেএসি) ভঙ্গ করে অবিভক্ত গোয়ালপাড়া জেলার ভূমিপুত্র (খিলঞ্জিয়া) কোচ রাজবংশীদের সমতল জনজাতির মৰ্যাদা প্ৰদান করে ষষ্ঠ তফশিলিতে অন্তর্ভুক্ত করে কমতাপুর টেরিটরিয়াল কাউন্সিল (কেটিসি) গঠন করতে কোচ রাজবংশী জাতীয় পরিষদ কেন্দ্ৰীয় ও অসম সরকারকে এক বাৰ্তা পাঠিয়েছে।

সেভাবে কোচ রাজবংশী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলিতে অন্তর্ভুক্ত করে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি কোচ রাজবংশী ভাষার উন্নয়ন, বিকাশ, গবেষণা এবং ভাষা তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য কেন্দ্ৰীয় ও রাজ্য সরকারকে আৰ্থিক অনুদান দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশ্বজিৎ বলেন, কাৰ্যনিৰ্বাহক সভার মাধ্যমে কোচ রাজবংশী জাতীয় পরিষদ কোচ রাজবংশীদের সমস্যা সমাধানের জন্য অরজনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁদের দাবি পূরণ করলে ভবিষ্যতে যে কোনও নিৰ্বাচনে তাঁরা সরাসরি ভূমিকা গ্ৰহণ করবেন বলেও সভায় প্ৰস্তাব নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *