আগরতলা, ১৩ জুলাই (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনার সংক্রমণ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নেওয়া শুরু করেছে। করোনার দৈনিক সংক্রমণে দেড় শতকের গন্ডিও পার করে ফেলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাতে, স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমানে সক্রিয় রোগী একলাফে আরও বেড়ে হয়েছে ৩৮৭। তবে, করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধিতে আক্রান্তের হারও বেড়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। এদিকে অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ১০ জন সুস্থ হয়েছেন। কিন্ত সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় সংক্রমণের প্রকোপ ঝড়ের গতিতে বেড়েই চলেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ১৫৫ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ১৪১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআরে ১৭ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনে ১৫৯ জন মোট ১৭৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। ফলে, দৈনিক সংক্রমণের হার বর্তমানে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.১৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সুস্থ হয়েছেন।
তাতে, বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩৮৭ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ১০১৩৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯৯৯৫৪ জন সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে বর্তমানে করোনা-আক্রান্তের হার হয়েছে ৪.০৬ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯৮.৭১ শতাংশ। এদিকে ০.৯১ শতাংশ হয়েছে মৃত্যুর হার। এছাড়া ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৯২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ১০৭ জন, সিপাহিজলা জেলায় ৩২ জন, গোমতী জেলায় ১৭, ধলাই জেলায় ১ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৩, ঊনকোটি ৭ জন এবং দক্ষিণ জেলায় ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খোয়াই জেলায় কেউ করোনা আক্রান্ত হননি।
করোনার প্রকোপে মারাত্মক উর্দ্ধ গতি নতুন চিন্তাভাবনার প্রয়োজন বোধ করাচ্ছে। অবশ্য, ত্রিপুরা সরকারও এখন পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলে দাবি করছে। স্বাস্থ্য দফতর এখনই বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।