ডিব্রুগড় (অসম), ১২ জুলাই (হি.স.) : অসমেও শুরু হয়ে গেছে বুলডজার চালিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ। বুলডজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পশুসম্পদ কর্মী ব্যবসায়ী বিনীত বাগরিয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত বাইদুল্লা খান এবং সামসুল্লা খানের বাড়ি।
আজ মঙ্গলবার সকালে ডিব্রুগড় জেলা প্রশাসন লাহোয়ালের ঘোড়ামারায় পশুকর্মী মাত্র ৩২ বছর বয়সি বিনীত বাগারিয়ার আত্মহত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত কাবুল (আফগানিস্তান)-এর বাসিন্দা বাইদুল্লা খান এবং সামসুল্লা খানের বাড়ি বুলডজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ৮ জুলাই তাদের বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়ে জেলা প্রশাসন বাইদুল্লা খান এবং সামসুল্লা খানের পরিবারকে দুটি বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সব নিয়ম লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে তাদের বাড়ি।
অসমের স্পেশাল ডিজিপি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সিং (জিপি সিং)-এর তত্ত্বাবধানে আজ আজ সকালে বাইদুল্লা খানের বাড়িতে বুলডজার চলেছে। গতকাল সন্ধ্যায় ডিব্রুগড়ে আত্মঘাতী বিনীত বাগারিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন জিপি সিং। এর আগে ৯ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বাগারিয়া পরিবারের সাথে দেখা করেছিলেন। মৃত বিনীত বাগারিয়া পুলিশ ও জেলাশাসকের কাছে তাঁকে সাহায্যের আহ্বান জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের এই ব্যর্থতার জন্য তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত গত ৭ জুলাই ডিব্রুগড়ের শনিমন্দির রোডে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বিনীত বাগারিয়া। আত্মহত্যার আগে বাগারিয়া একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন, যেখানে তিনি বাইদুল্লা খান, সামসুল্লা খান, সঞ্জয় শর্মা, নিশান্ত শর্মা এবং ইজাজ খান সহ পাঁচজন তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচণ্ড হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। বিনীত বাগারিয়া এবং তাঁর বাবা স্থানীয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাগরিয়ার আত্মহত্যার পর অবশ্য ডিব্রুগড় পুলিশ বাইদুল্লা এবং সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে। তবে অন্য দুজন এখনও পলাতক।
এদিকে সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলায় চারজন অভিযুক্ত থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা বাইদুল্লা খানের ভূমিকা এবং তার প্ররোচনায় বিনীত বাগারিয়ার আত্মহত্যার পিছনে মূল কারণ হিসেবে ধরে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি চিন্তিত,

