চেন্নাই, ১১ জুলাই (হি.স.): প্রত্যাশিতই ছিল, তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকে সোমবার এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামীকে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করেছে এবং তাঁকে সংগঠন পরিচালনা করার সম্পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করেছে। সোমবার চেন্নাইয়ের ভানাগারামে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ পরিষদের সভায়, এআইএডিএমকে যথাক্রমে ও পন্নীরসেলভম এবং ই কে পালানিস্বামীর দ্বারা অধিষ্ঠিত সমন্বয়কারী এবং যুগ্ম সমন্বয়কের পূর্বের দু’টি শীর্ষ পদ বাতিল করার অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার সকালে মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশের পর দলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি বাধে। ব্যাপক ঝামেলার মধ্যেও শেষমেশ সাধারণ পরিষদ ১৬টি প্রস্তাবই পাশ করিয়ে নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল— পালানিস্বামীকে দলের অন্তর্বর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা। এছাড়াও আগামী ৪ মাসের মধ্যে দলের স্থায়ী সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচন করা হবে বলেও প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে কোঅর্ডিনেটর ও যুগ্ম কোঅর্ডিনেটর পদ দু’টির অবলুপ্তি ঘটানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের সবুজ সংকেত পেয়ে এদিন সকালেই এআইএডিএমকে-র ‘বিতর্কিত’ সাধারণ পরিষদের বৈঠক হয়। তার আগে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যায় চেন্নাইয়ে। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন শাসকদলের দুই শিবিরে তুমুল মারামারি, হাতাহাতি লাগে প্রধান কার্যালয়ের বাইরে। প্রাক্তন মন্ত্রী ও পন্নীরসেলভম গোষ্ঠীর আর্জি মাদ্রাজ হাইকোর্ট নাকচ করে দেওয়ার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পন্নীরসেলভম গোষ্ঠী উচ্চ আদালতে সাধারণ পরিষদ বৈঠক স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিল। কারণ এই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সাধারণ সম্পাদক পদটিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা এবং কোঅর্ডিনেটর ও যুগ্ম কোঅর্ডিনেটর পদ দু’টির অবলুপ্তি ঘটানোর প্রস্তাব আনা হয়। সেটা আঁচ করেই পন্নীরসেলভেমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
এদিন সকালে এআইএডিএমকে অফিসে ভাঙচুর চালান পন্নীরসেলভম গোষ্ঠীর অনুরাগীরা। পালানিস্বামীর ছবিতে চপ্পল দিয়ে চড় মারা হয়, পরিস্থিতি ক্রমেই বেগতিক হয়ে ওঠে। এআইএডিএমকে সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পন্নীরসেলভম গোষ্ঠীর অনুরাগীরা। লাঠিসোঁটা, পাথর ছোড়া এমনকী ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন। বেশ গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।