গুয়াহাটি, ৫ জুলাই (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্ৰীর নয়া রাজনৈতিক সচিব হয়েছেন রাজ্যসভার সদস্য পবিত্ৰ মাৰ্ঘেরিটা। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের দায়িত্ব পেয়ে প্রচণ্ড আনন্দ অনুভব করছেন সাংসদ পবিত্র।
আজ গুয়াহাটির হেঙেরাবাড়িতে অবস্থিত বিজেপির প্রদেশ সদর দফতর অটলবিহারী বাজপেয়ী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্ৰীর নয়া রাজনৈতিক সচিব পদে নিয়োজিত করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন দলের প্রদেশ সভাপতি ভবেশ কলিতা। প্রসঙ্গত এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন জয়ন্তমল্ল বরুয়া। অতি সম্প্রতি তিনি রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদে নিয়োজিত হয়েছেন। ফলে এই পদটি শূন্য হয়ে পড়েছিল।
এদিকে নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিবকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের প্রদেশ সভাপতি ভবেশ কলিতা এবং প্রদেশ সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক ফণীন্দ্ৰনাথ শৰ্মা। নতুন দায়িত্ব তিনি দক্ষতার সঙ্গে সুচারুরূপে পালন করবেন বলে আশাবাদী দলের দুই প্রদেশ নেতা।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন পবিত্র মার্ঘেরিটা। মার্ঘেরিটা এর আগে প্রদেশ বিজেপির বেশ কয়েকটি শীর্ষ পদ কৃতিত্বের সঙ্গে সামলেছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি অসম বিজেপির একজন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি অসম বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেল এবং কামরূপ (উত্তর) জেলার দলীয় প্রভারির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সরকার পরিচালিত জ্যোতি চিত্রবনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত।
তিনি রাজ্য সরকারের ছাত্র ও যুব কল্যাণের রাজ্যস্তরের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য–সচিব হিসেবে কাজ করেছেন ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে চলতি ২০২২ সালের মার্চ, সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত। এছাড়া তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত মাসিক মায়া-র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক ছিলেন। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রালয়ের পরামর্শক কমিটির সদস্য হিসেবেও নিয়োজিত হয়েছেন। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আরেকটি অসমিয়া সাংস্কৃতিক মাসিক সারেগামা-র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন পবিত্র মার্ঘেরিটা।
এদিকে নতুন দায়িত্ব পেয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা, বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ভবেশ কলিতা, ক্ষেত্র সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় জামোয়াল, প্রদেশ সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক ফণীন্দ্ৰনাথ শৰ্মা এবং দলের কার্যকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন পবিত্র মার্ঘেরিটা। এক সাক্ষাৎকারে পবিত্র বলেন, মুখ্যমন্ত্ৰীর রাজনৈতিক সচিবের মতো গুরুত্বপূৰ্ণ দায়িত্ব লাভ করে প্রচণ্ড আনন্দিত। বলেন, আগের চেয়ে দায়িত্ব আরও বহু গুণ বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা দিবারাত্র ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা অক্লান্ত কাজ করেন। তিনিও সে অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্ৰীকে সহায় করার চেষ্টা করবেন। মার্ঘেরিটা বলেন, ভারতীয় জনতা পাৰ্টির মতো দলে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে সুফল একদিন পাওয়া যায়।
এক জিজ্ঞাসার জবাবে পবিত্র মার্ঘেরিটা বলেন, সাংসদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্ৰীর রাজনৈতিক সচিবের মতো পদে উপযুক্ত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে জনসাধারণের জন্য জন্য কাজ করে যাবেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন জয়ন্তমল্ল বরুয়া। সম্প্রতি গত ৯ জুন জয়ন্তমল্ল বরুয়াকে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। বরুয়াকে দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, দক্ষতা বিকাশ ও উদ্যোগ এবং পৰ্যটন দফতর।