উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ফড়ণবীস, ২০১৯-এর কথা তুলে শিবসেনার কটাক্ষ ফডণবীসকে

মুম্বই, ১ জুলাই ( হি. স.) : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ মুহূর্তে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। আর রাত পোহাতেই শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় কটাক্ষ দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে। সামনায় কটাক্ষ মেশানো প্রশ্ন করা হয়েছে, সেই যখন উপমুখ্যমন্ত্রীই হলেন, তা হলে ২০১৯-এ কেন হলেন না? প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্দে।

দক্ষিণপন্থী রাজনীতিতে বরাবরই ‘ঠোঁটকাটা’ বলে পরিচিতি রয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামনা। বরাবরই তাদের সম্পাদকীয় পাতায় চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করা হয় শিবসেনা বিরোধীদের। উদ্ধবের সরকার ভেঙে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শিন্দে। যদিও গোটা সম্পাদকীয় পাতায় এক বারও একনাথ শিন্দের নাম করা হয়নি। তবে এদিনের সম্পাদকীয়ের আক্রমণের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন ফডণবীস এবং তাঁর দল বিজেপি। লেখা হয়েছে, ‘২০১৯ বিধানসভা ভোটের আগে শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে ক্ষমতা বণ্টনের নীলনকশা চূড়ান্ত হয়েছিল, তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কেন তারা (বিজেপি) জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল?’
এর পরই ফডণবীসকে সরাসরি কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘তাঁর তো মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফেরার কথা ছিল, কিন্তু দেখতে পাচ্ছি, তিনি ফিরলেন উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে!’ তার পরই লেখা হয়েছে, ‘সেই তো উপমুখ্যমন্ত্রীই হলেন, তা হলে ২০১৯-এ কী সমস্যা হয়েছিল?’

সামনায় এর পরের নিশানা একনাথ শিন্দে। তবে এক বারও তাঁর নাম করা হয়নি। লেখা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে যা যা হল, তাতে একটা জিনিস প্রমাণিত, তা হল, সবার উপরে ক্ষমতা সত্য, আর বাকি সব মিথ্যা। আবার এমন দলের সমর্থন নিয়ে যাঁরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাবি করে এল, বিধায়কদের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই!’ মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক টালমাটাল সময়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রকাশ্য অসন্তোষ রয়েছে সামনার সম্পাদকীয়তে। আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি সুপ্রিম কোর্টও।