আগরতলা, ২৭ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের কারণে পরিস্থিতির হালহকিকত জানতে কংগ্রেসের তিন সাংসদ এসেছেন। লোকসভার বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই সাংসদ দল আজ সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার সাথে দেখা করেছেন। তাঁর কাছে একাধিক সন্ত্রাসের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নালিশ জানিয়েছেন তাঁরা।
এরপর জি বি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আহত কংগ্রেস কর্মী এবং পুলিশ কর্মীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং প্রসেখান থেকে তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহার বাসভবনে চলে যান। গতকাল কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে আঘাত পেয়েছিলেন বীরজিত বাবু। আজ কংগ্রেসের সাংসদ দল তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি উপনির্বাচনে একটি আসনে জয়ী হওয়ার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। ওই সময় তাঁদের সাথে ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণও ছিলেন।
এদিন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সাংসদ গৌরব গগৈ এবং সাংসদ ড. নাসির হুসেইন আগরতলা বিমান বন্দর থেকে সোজা সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার সাথে দেখা করতে চলে যান। তাঁদের সাথে ছিলেন কংগ্রেসের ত্রিপুরা প্রভারী ডা: অজয় কুমার এবং সাধারণ সম্পাদিকা জারিটা। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তাঁরা।
এ-বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, উপনির্বাচনের পর ত্রিপুরায় লাগাতর সন্ত্রাস চলছে। খোয়াই, বিলোনিয়া, কৈলাসহর সহ বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসের পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ের বিবরণ আজ মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি এবং ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় শান্তি-শৃংখলা ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, সন্ত্রাস দমনের পাশে আহত কংগ্রেস কর্মীদের সুচিকিত্সা এবং আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে। ত্রিপুরা সরকার ওই দাবি মেনে না নিলে কংগ্রেস আন্দোলন আরও তীব্রতর করবে। কারণ, ত্রিপুরায় কংগ্রেস নতুন করে সবশক্তি দিয়ে লড়াই শুরু করবে, বলেন তিনি।