আগরতলা, ২৩ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় চারটি আসনে উপনির্বাচন সকাল থেকেই উতসাহের সাথে ভোট পর্ব চলছে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৫১.৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু উত্তেজনার ঘটনা ছাড়া ভোট সর্বত্র শান্তিপূর্ণ বলেই খবর মিলেছে। বিরোধীরা অবশ্য ভোটারদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে। তবে, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রতি বছরের মতোই ত্রিপুরায় উত্সবের মেজাজ এই উপনির্বাচনেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সকাল সকাল ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী ডা: মানিক সাহা এবং ডা: অশোক সিনহা। কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরাও নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
আজ ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩২ ভোটার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস এবং নির্দল প্রার্থীরা।
এদিন ভারত কেশরী ডা: শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর বলিদান দিবসে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভোট দিয়েছেন বিজেপির দুই প্রার্থী ডা: মানিক সাহা এবং ডা: অশোক সিনহা। তবে, ডা: মানিক সাহা ভোট দেওয়ার পূর্বে লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। সস্ত্রীক ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েই তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ডা: অশোক সিনহাও সকলের সাথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এদিন ভোটকেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। কারণ, ২০১৮ সালের পূর্বে ত্রিপুরায় এমন প্রচলন ছিল না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই প্রথা শুরু করে দিয়ে গেছেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও তার ব্যতিক্রম হননি।
চারটি আসনে আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৫১.৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ৬-আগরতলা কেন্দ্রে। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬-আগরতলা কেন্দ্রে ৫৪.২ শতাংশ, ৮-টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে ৫২.১৬ শতাংশ, ৪৬-সুরমা কেন্দ্রে ৫৩.৫ শতাংশ এবং ৫৭-যুবরাজনগর কেন্দ্রে ৪৬.৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।এদিকে, ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ৫, ২৯ এবং ৩০ নম্বর বুথে ইভিএম বিকলের খবর মিলেছে। ইন্দ্রনগর আইটি কেন্দ্রেও ইভিএম বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেখানে ভোটারদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবে, ইভিএম সারাই করে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়েছে বলে কমিশনের আধিকারিক জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ভোট শান্তিপূর্ণ চলছে। কিছু স্থান থেকে অভিযোগ আসছে। তবে, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার জি রেড্ডি।