কলকাতা, ১৯ জুন (হি.স.): সব সম্পত্তি একা ভোগ করতে চেয়ে পথের কাটা দাদা ও দিদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে ধৃত যুবক। রবিবার এই ঘটনা ঘটে শিয়ালদহের কাছে জাস্টিস মন্মথ মুখার্জি রো’তে। জখম দুই ভাই-বনকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তাঁরা।
রবিবার ঘড়িতে সকাল প্রায় ১০ টা ৪০। শিয়ালদহের কাছে জাস্টিস মন্মথ মুখার্জি রো’র বাসিন্দা সায়ক খাসনবিশ আচমকাই কাটারি নিয়ে হাজির হয়। এরপর নিজের দাদা ও দিদিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। দাদা হাতে-কাঁধে গুরুতর আঘাত পান। রক্তাক্ত হন দিদিও। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তাঁরা। সায়কের হিংসাত্মক চেহারা দেখে ভয় পেয়ে যান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। ঘটনার কথা শুনে পুলিশ আক্রমণকারী সায়ককে আটক করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে সায়ক নিজেরক দাদা-দিদিকে খুন করতে চেয়েছিল। তার দিদি জানাচ্ছে, ছোটভাই কিছুদিন ধরেই তাঁকে হুঁশিয়ারি দিত, যখন-তখন খুনে করার। এমনকী সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল সায়ক। তার দিদির কথায়, ”ছোট ভাই কিছু করে না, বেকার। ওর দাবি, বাবার সব সম্পত্তি ওকেই লিখে দিতে হবে। আমরা কেউ কোনও ভাগ পাব না। বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হয়, এমনকী ও মারধরও করেছে। হুমকি দেয়, সুপারি কিলার দিতে খুন করিয়ে দেবে। আমাকেও দু, একবার সুপারি কিলারের ভয় দেখিয়েছে।”
তবে হুঁশিয়ারি মতই যে একদিন সায়ক নিজেই দাদা, দিদিকে খুনের চেষ্টা করবে, তা কেউ ভাবেনি। যদিও বরাতজোড়ে প্রাণে বেঁচেছেন সায়কের দাদা অনির্বাণ। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।