ধর্মনগর, ১৬ জুন : আগামী ২৩ জুন যুবরাজ নগর বিধানসভা উপনির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার হাফলং ছড়া চা বাগানে এক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি দলের প্রার্থী মলিনা দেবনাথের সমর্থনে প্রচারে যান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঝরনা দেববর্মা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস এবং প্রদেশ বিজেপি দলের সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব স্থানীয়রা।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি বলেন, তিনি যুবরাজ নগর উপনির্বাচনে মলিনা দেবনাথের হয়ে প্রচারে এসেছেন। তাঁকে জয়ী করা এলাকার মানুষের জন্য একান্ত প্রয়োজন। কারণ, এখনো এই জায়গাটির অনেক সমস্যা রয়েছে। রাজ্যে বিজেপি চার বছর অনেক পরিবর্তন করলেও, সমস্যার পুরোপুরি সমাধান এখনো হয়নি। তাই যখন কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এর পাশাপাশি রাজ্যে বিজেপি সরকার এবং স্থানীয়ভাবে বিজেপির বিধায়ক থাকলে তখন এলাকার সমস্যা নিরসনে অনেক বেশি সুবিধা হবে।
রাজ্যে আরও কয়েকটি পেট্রোল পাম্প বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী। বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস লাইন সরবরাহের জন্য আগে ৫০০০ টাকা সিকিউরিটি দিতে হতো, এখন থেকে ৫০০ টাকা দিলেই হবে বলে জানান তিনি। এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ত্রিপুরাতে বড় মাত্রায় যে চা বাগানগুলো রয়েছে ২৫ বছর প্রশাসনে থেকে কমিউনিস্টরা চা শ্রমিকদের প্রতারণার শিকার বানিয়েছে। যেকোনো মিছিল-মিটিং হত চা বাগানের শ্রমিকদের দিয়ে। সারাদিন কষ্ট করার পর তাদেরকে বাধ্য করা হতো মিছিল মিটিংয়ে যেতে। বিনিময়ে তাদের জুটত লাঞ্ছনা, উৎপীড়ন, যন্ত্রনা, প্রতারণা। তাদেরকে সবচেয়ে বেশি শোষণ করেছে কমিউনিস্টরা। বিজেপি সরকার আসার পর ৮৫ কোটি টাকা ব্যয় করে তাদের জীবনের মান উন্নয়ন করা হয়েছে, দাবি করেন তিনি।
তাঁর আরো দাবি, ২ গন্ডা করে জমি দিয়ে তাঁদের জমির মালিক বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে প্রমাণিত, চা শ্রমিকদের জন্য বিজেপি সরকার বাদে অন্যরা লাঞ্ছনা প্রতারণা ছাড়া কিছুই করেনি। তিনি বলেন, কৃষকরা এখন ২০ টাকা ৪০ পয়সা দরে ধান বিক্রি করছে ভারতীয় খাদ্য নিগমের কাছে। যা ত্রিপুরায় সর্বকালীন রেকর্ড। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্যই রাজ্যের কাঁঠাল, বাঁশের কোড়ল, আনারস, লেবু বিদেশের মাটিতে বিক্রি হচ্ছে। মোদীর নেতৃত্বে ত্রিপুরাকে ২০ থেকে ২৫ বছর রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য এলাকার মানুষের প্রতি আবেদন জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

