নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৬ জুন৷৷ পাহাড়ি এলাকায় ম্যালেরিয়ার বিস্তার লাভ করার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পদক্ষেপ৷ মূলত মে, জুন, জুলাই মাস গুলিতে ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে৷ এজন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর আগাম কিছু ব্যবস্থাদি নিয়ে থাকে সর্বদা৷ ম্যালেরিয়ার বিস্তার লাভের খতিয়ানের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় এবছর মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি.ব্লকের অধীনে ১৮ জন জনজাতি মানুষজনরা মারণব্যাধি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল৷ আক্রান্তরা মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসে৷
একটি সূত্রে জানা গেছে, ১৮ জন ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জন আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যায়৷ আর বাকি একজন আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে বর্তমানে মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷
অভিযোগ, অনেক সময় আক্রান্ত এলাকাগুলিতে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য শিবির ও করা হচ্ছে না৷ অপরদিকে এই মারণব্যাধি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অধিকাংশ জুমিয়া শ্রেণীর মানুষজন৷ বিশেষ করে মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনে বিলাই হাম রিয়াং পাড়া, কাঁকড়া ছড়া, নুনাছড়া, ছনপাড়া, খাকলাই, বিলাই খাং, বিলাধন চৌধুরী রিয়াং পাড়া সহ তার আশপাশ এলাকা গুলিতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুঙ্গিয়াকামী স্বাস্থ্য প্রশাসন হাতেগোনা কয়েকটি স্বাস্থ্য শিবির করে হাসপাতাল মুখিঁ হয়ে পড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ অথচ অভাব অনটনে থাকা জুমিয়ারা অর্থকড়ির দৈন্যতার কারণে মুঙ্গিয়াকামী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে চিকিৎসা পরিষেবাও নিতে পারছে না বলে অভিযোগ৷
অন্যদিকে এব্যাপারে মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, গত কিছু দিনের মধ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৮জন, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৭ জন, বর্তমানে মারণব্যাধি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন একজন৷ পরে তিনি এও জানান, মারণব্যাধি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত এলাকাগুলিতে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যকর্মীদের দুটি টিম উক্ত এলাকাগুলিতে যাচ্ছে এবং এলাকার জনজাতিদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা সহ বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে উপজাতি গিরিবাসীদের মধ্যে৷