নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুন৷৷ গোমতী জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন এক স্বাস্থ্যকর্মীর পুত্র৷ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান এর বদলে চিকিৎসক নাকি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,উদয়পুরের গঙ্গাছড়া এলাকার বাসিন্দা বনলতা বিশ্বাস সেন পেশায় আশা কর্মী বুকের ব্যথা নিয়ে তুলামুড়া হাসপাতলে গত শনিবার ভর্তি হন৷ তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে গোমতী জেলা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন৷ হাসপাতলে আসার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তহিদুল ইসলাম উনাকে দেখে ভর্তি করান হাসপাতলে আইসিইউ বিভাগে৷ তিনি রোগীর মাথার সিটি স্ক্যান সহ অন্যান্য টেস্ট করানোর জন্য পরামর্শ দেন এবং বিভিন্ন ওষুধ পত্র লিখে দেন৷ যথারীতি সেই পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর আত্মীয়রা রোগীর সিটিস্ক্যান করিয়ে নেন এবং ওষুধপত্রও কিনে নেন৷ রবিবার রাতে রোগিনীর ছেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌটুসী দাসকে জিজ্ঞেস করেন যে বুকের ব্যথা নিয়ে তার মাকে ভর্তি করা হয়েছে তাহলে মাথায় সিটি স্ক্যান কেন৷ সিটি স্ক্যান বা এক্সরে তো করানোর কথা বুকে৷ দ্বিতীয়ত সুগার টেস্ট না করিয়ে কি করে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উনার মাকে ইনসুলিন নিতে বাধ্য করে? আগে সুগার ধরা পড়লে তারপরেই তো ইনসুলিন দেওয়ার কথা ? এই প্রশ্ণের উত্তরে ডক্টর মৌটুসী দাস রেগে গিয়ে রোগীর আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ৷ তৎক্ষনাত রোগীকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেন৷ রোগীর আত্মীয়রা সংবাদমাধ্যমের সামনে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের কীর্তি কান্ড তুলে ধরেন৷ কিভাবে চিকিৎসক মৌটুসী দাস হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসা পরিসেবা প্রদানের বদলে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ৷
গোমতী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, বাকবিতন্ডা এমনকি সংঘর্ষের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে৷ রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন না৷ প্রশ্ণের উত্তর দেন না সঠিকভাবে৷ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী এবং তার বাড়ির লোকজনদের চিকিৎসার ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্য প্রদান করেন না ডাক্তাররা৷ অন্যদিকে চিকিৎসকদের অভিযোগ রোগীরাও তাদের রোগের ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেননা চিকিৎসকদের৷ চিকিৎসকদেরও ভাবা দরকার যে এত দূর থেকে একটা রোগী তার রোগ সারানোর জন্য একমাত্র মানুষরূপী ভগবানদের কাছেই দৌড়ে চলে আসেন৷ তাদের দুঃখের কথা বলতে, তাদের রোগ কষ্টের কথা জানাতে৷ অল্প কয়েকজন চিকিৎসকদের জন্য পুরো চিকিৎসক সমাজ অবশ্যই চাইবে না জনগণের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সেই ভগবানের জায়গাটি বিসর্জন দিতে৷
2022-06-13