BRAKING NEWS

Rice Seized teliamura : তেলিয়ামুড়ায় দুইশ বস্তা রেশনের চাল বাজেয়াপ্ত

তেলিয়ামুড়া, ১ জুন৷৷ রেশনিং ব্যাবস্থার জুট-ঝামেলা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তেলিয়ামুড়াতে৷ তাও আবার সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানের৷ বুধবার সকালে রেশনিং ব্যাবস্থার দুর্নীতির গ্যারাকল নিয়ে নতুন তথ্য বেরিয়ে এলো বাস্তব সম্মত ভাবে৷ চাকমাঘাট এলাকার দুর্নীতিগ্রস্ত রেশন দোকানের অনতিদূরেই(প্রায় আধ কিলোমিটার) ২০০ বস্তা রেশনের চাল একটি দোকান ঘরে তালা বন্দি অবস্থায় পড়ে আছে৷ এবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য দপ্তর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ওই তালা বন্ধ দোকানটিতে তল্লাশি চালিয়ে ২০০ বস্তা চাল বাজেয়াপ্ত করে৷

এ প্রসঙ্গে ডি.সি.এম অমৃত চৌধুরী জানিয়েছেন, রেশনের চাল খাদ্য গুদাম থেকে বেরিয়ে রেশন দোকানের স্টোর রুমে থাকার কথা৷ কিন্তু রেশন দোকান থেকে আধ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে কিভাবে এলো৷ তিনি এও জানান, এক্ষেত্রে রেশন দোকানের ডিলার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের গ্রাম প্রধান থেকে অনুমোদন নিয়ে এবং মহকুমা শাসকের অনুমোদন নিয়ে তবেই রেশন থেকে দূরবর্তী স্থানে রেশনের চাল মজত করা যায়৷ এক্ষেত্রে নমিনিউ রেশন ডিলার রাজকুমার দাস অনুমোদন করে নিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে৷

তবে ডি.সি.এম এও জানালেন, ওই মজুদকৃত চাল গুলো নমিনিউ রেশন ডিলার রাজকুমার দাসের৷ অন্যদিকে, তেলিয়ামুড়া খাদ্যগুদামের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য দপ্তরের ফুড ইন্সপেক্টর ভুট্টো দেববর্মা বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন৷ কিন্তু, তিনি ছুটিতে থেকেই তেলিয়ামুড়া জারুইলং বাড়ি স্থিত খাদ্যগুদামের ইনচার্জের নিকট ফোনে জানান, ওই নমিনিউ রেশন ডিলার রাজকুমার দাসকে যেন ২০০ বস্তা চাল দেওয়া হয় তাও সন্ধ্যাকালীন সময়ে৷

প্রশ্ণ দেখা দিয়েছে, ফুড ইন্সপেক্টর ছুটিতে থেকে উনার নিজের প্রভাব খাটিয়ে খাদ্য গুদামের ইনচার্জকে ঘুমে রেখে ২০০ বস্তা চাল প্রদান করা হয়৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনে রীতিমতো গুঞ্জন চলছে৷ তবে খাদ্য গুদামের শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের নিত্যদিনের কাজের সময় শেষ হওয়ার পরেও ওই ফুড ইন্সপেক্টরের নির্দেশে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়েছে৷ তবে কি কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রেশন ডিলারদের সাথে ফুড ইন্সপেক্টর ভুট্টো দেববর্মার হরিহর আত্মা সম্পর্ক রয়েছে? নাকি নমিনিউ রেশন ডিলার রাজকুমার দাস চাকমাঘাট শক্তি কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর হওয়ার সুবাদে এমনটা সম্ভব হয়েছে! এমনটাই প্রশ্ণ উঁকি মারছে আমজনতার মনে৷ এখন দেখার বিষয় তেলিয়ামুড়া মকুমার খাদ্য দপ্তর ওই বিষয়ে তদন্তক্রমে সঠিক তথ্য বের করে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *