মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর করার পদক্ষেপকে ‘গণতান্ত্রিক নিয়মের লঙ্ঘন’, বললেন সাংসদ সুশীল মোদী

নয়াদিল্লি, ২৭ মে (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর করার জন্য একটি বিল পেশ করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী।শুক্রবার সুশীল কুমার মোদী বলেন, এই ঐতিহ্যটি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাধাকৃষ্ণন কমিটির সুপারিশে রাজ্যের রাজ্যপাল থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর। এই ঐতিহ্যকে শেষ করা হচ্ছে। যদি আপনার রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকে, এর মানে এই নয় যে আপনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করতে পারেন।

বিজেপি সাংসদ আরও যুক্তি দিয়ে বলেন, উপাচার্য নিয়োগের অধিকার শুধুমাত্র রাজ্যপালেরই নেই, নিয়োগের জন্য ৩-৪ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল এবং তারপরে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে নাম ঠিক করেন।তামিলনাড়ুর কথা উল্লেখ করে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী বলেন, “তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা সত্ত্বেও সেখানে কি রাজ্যপালকে চ্যান্সেলর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? বহু বছর ধরে একটি ভাল ঐতিহ্য চলছে যে চ্যান্সেলরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান, এবং সেই ঐতিহ্য। বজায় রাখা উচিত।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে একটি বিল আনার অনুমোদন দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।