নয়াদিল্লি, ২৫ মে (হি. স.) : বেড়েই চলেছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত দেশের সংখ্যা । এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়াতেও প্রথমবারের মত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যার ফলে এই রোগে আক্রান্ত দেশের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বাইরে ১৮টি দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।
মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ওই সব অঞ্চলের মানুষের কাছে মাঙ্কিপক্স খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। তবে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(২৪ মে) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এমনটি জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকা সফর করেছিলেন। সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর এখন তার চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়াতেও প্রথমবারের মত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনও টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। তবে গুটি বসন্তের টিকা এ রোগ থেকে ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কারণ দুটি ভাইরাসের ধরন প্রায় একই রকমের। জ্বর, গায়ে ব্যথা, বড় আকারের বসন্ত মাঙ্কিপক্সের সাধারণ বৈশিষ্ট হলেও এ রোগের কারণে মুখ বা যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, এ রোগে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়। পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌনসম্পর্কের মধ্য দিয়ে এ রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সমকামী পুরুষদের সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সের একটি রূপ এতই ভয়ংকর, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ শতাংশ মারা যেতে পারেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার কোনও উপায় নেই। তবে, অন্যান্য ভাইরাসের মোকাবিলার মত উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এর প্রকোপ কমান যায়। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।

