Cricket : শ্রীদামকে ছাপিয়ে গেলেন রজত, অর্জুন, সদর-‌মোহনপুরের ফাইনাল ম্যাচ টাই

মোহনপুর-‌১৭৫/‌৭

সদর-‌১৭৫/‌৪

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মে।।অবিশ্বাস্য এবং দুরন্ত ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ফাইনাল ম্যাচ শেষ হলো টাই। ম্যাচ মোহনপুরের গড়া ১৭৫ রানের জবাবে সদর মহকুমা ১৭৫  রান করতেই সক্ষম হয়। এম বি বি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচ একসময় সদরের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। যখন ১০.‌৪ ওভারে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিলো সদর। ওই অবস্থায় অর্জুন দেবনাথ এবং রজত দে যেভাবে ব্যাট করলেন তা প্রশংসার দাবি রাখেন। বৃষ্টির জন্য এদিন ম্যাচ শুরু হতে দেরী হয়। ফলে ওভার কমিয়ে ২০ করা হয়।

মোহনপুর প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বিশাল ১৭৫ রান করে। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সদরের বোলারদের কার্যত শাসন করেন শ্রীদাম পাল। শ্রীদামের চওড়া ব্যাটে দ্রুত স্কোর বোর্ডে রান আসতে থাকে মোহনপুরের। বেশ কয়েকবার অনেকটা অনায়াসেই সীমানার বাইরে বল পাঠাতে দেখা গেছে রাজ্য দলের ওই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানটিকে। মাত্র ৩৫ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারি ও ৬ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৫ রান করে শ্রীদাম গোটা দলকে অক্সিজেন দিয়ে যান।

এছাড়া দলের পক্ষে স্পিডস্টার অজয় সরকার ৩১ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫ এবং চিরঞ্জীব দেবনাথ ১৬ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ১ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান করেন। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ১৮ রান। সদরের পক্ষে অর্জুন দেবনাথ (‌২/‌২৬) এবং চিরঞ্জীৎ পাল (‌২/‌২৬) সফল বোলার। বিশাল রানের নীচে চাপা পড়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে সদর মহকুমা। ‌‌জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় সদর মহকুমা। দলীয় ৩ রানের মাথায় পল্লব দাসকে হারানোর পর। এর পর বিশাল ঘোষের সঙ্গে নিরুপম সেন চৌধুরি ৩৭ রান যোগ করেন। বিশাল ২০ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ এবং নিরুপম ২৭ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ১ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রান করেন। ব্যর্থ হয়েছেন কৌশল আচার্য (‌৬)।

৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে সদর মহকুমা যখন খাদের কিনারায় তখনই ম্যাচের যাবতীয় দায়িত্ব নিজেদের কঁাধে তুলে নেন রজত দে এবং অর্জুন দেবনাথ। ওই জুটি সেট হতেই রুদ্রমূর্তি ধারন করেন। ‌অর্জুন অনবরত বল সীমানার বাইরে পাঠাতে থাকেন। ওই জুটি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ১৭৫ রানে পৌঁছে দেন। অর্জুন ৩২ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ৬ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪ রানে এবং রজত ২৮ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থেকে যান। খেলা শেষে হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *