জেনেভা, ১৯ মে (হি. স.) : দেশীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপাতত গম রফতানি করছে না ভারত। যা নিয়ে বিশ্ব বাজারে শোরগোল শুরু হয় । গম রফতানি নিয়ে পশ্চিমী দুনিয়াকে পাল্টা জবাব দিল ভারত । বুধবার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে পশ্চিমকে খোঁচা মেরে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিল, করোনা টিকার ক্ষেত্রে যেভাবে অন্যায় ভাবে তা মজুত করে রাখা হয়েছিল, খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হতে দেওয়া যাবে না। ভারত যে গম রফতানি নিয়ন্ত্রণ করেছে তার পিছনে অন্যতম কারণ, সত্যিই যাদের দরকার তারাই যেন তা পায়। বুধবার ছিল ‘গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি কল টু অ্যাকশন’ শীর্ষক এক বৈঠক। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরণ। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
ভি মুরলিধরণ বলেন, ”সমাজের কম উপার্জনকারী অংশকে আজ লড়তে হচ্ছে দুটো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে। সেগুলি হল মূল্যবৃদ্ধি ও খাদ্যশস্য় সংগ্রহে সমস্যা। এমনকী ভারতের মত দেশ যাদের কাছে পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে, সেখানেও অকারণে খাবারের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। যা থেকে পরিষ্কার, মজুত করে রাখার কাজ পুরোদমে করা হচ্ছে। আমরা এমনটা চলতে দিতে পারি না।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ সেনা ঢুকে পড়তেই তার সর্বব্যাপী প্রভাব পড়তে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে। এর মধ্যে রয়েছে গমও। বিশ্বের মোট গম রফতানির ২৯ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের টালমাটাল পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে গমের জন্য ভারতেরই উপর নির্ভরশীল বিশ্ব। ভারতই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু এবার ভারতও গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে ৬৫ লক্ষ টন গম রফতানি করেছিল ভারত। কিন্তু এবার ইতিমধ্যেই সেই সীমানা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে! তাই মনে করা হচ্ছিল নতুন নজির গড়বে ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। উল্লেখ্য, করোনা টিকার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছে, প্রথম বিশ্ব তথা ধনী দেশগুলি টিকা মজুত করেছিল। যে কারণে দরিদ্র দেশগুলিকে টিকা জোগাড় করতে বিপুল সংগ্রাম করতে হয়েছে।