নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ গন্ডাছড়া মাছ বাজারটি দীর্ঘ আশি দশকের ৷রাজ্যের সব কয়টি মাছ মাংস বাজারের উন্নয়ন হলেও গন্ডাছড়া মাছ বাজারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বললেও চলে৷
এখানে দোকান আছে প্রায় চার থেকে পাঁচশত৷ বড় থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এই বাজারে৷ দীর্ঘ আশি দশকের বাজার হলে কি হবে নেই ময়লা খলা,নেই বাজারের জল নিস্কাশনী ড্রেন৷দোকানের ময়লা রাস্তায় জমিয়ে রাখে৷ বাজারে ডাষ্টবিন নেই৷ রাজ্যের সব কয়টি মাছ বাজারের উন্নয়তি হয়েছে৷কিন্তু গন্ডাছড়া মাছ বাজার সেই আশি দশকের মত হয়ে আছে৷ এক সময় বাজার পরিষ্কার করার জন্য, ডেভেলপমেন্ট করার জন্য টি টি এএ ডিসি এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট কমিটি ছিল৷ বাজারটি ছিল এগ্রি রেগুলেটেড কমিটির হাতে৷ কিন্তু বর্তমান তা নেই৷ এগ্রিকালচার থেকে সপ্তাহে ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়৷ তাছাড়া প্রতিমাসে ব্যবসায়ীদের খাজানা দেওয়া হয় একশত টাকা থেকে ১২৫ টাকা,পরিষ্কার রাখার জন্য৷ দেখা যায় যে দোকন ঝাঁড় দিয়ে দোকানের ময়লা গুলো রাস্তায় ফেলে দেয়৷ রাস্তায় পড়ে থাকে আবর্জনা৷
এইদিকে গন্ডাছড়া মাছ এবং মাংস বাজার পুতিগন্ধময়৷ পেটেয় দায়ে মাছ বিক্রি করতে হয় তাদের৷বৃষ্টি এলে এই পচা নর্দমা থেকে বৃষ্টির জলে ভেসে মাছের উপর কখনো গায়ে ওঠে৷ মাছ বাজারে ক্রেতারা যখন মাছ কিনতে আসেন তখন নাকে রুমাল চাপা দিয়ে আসেন৷আর এই পুতিগন্দময় দূরগন্ধ নিয়ে পেটের তাগিদে বসে থাকতে হয় তাদের৷ধর্মনগরের এস ডি এম অফিসে অবসর গ্রহণের পরেও এক গ্রুপ ডি কর্মচারী নেতা দালালদের সুবিধার্থে নিয়মিত অফিসে এসে কাজ করে যাচ্ছে৷
অবশেষে প্রশাসনের তরফ থেকে এই সব আবর্জনা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ এখন থেকে নিয়মিত গন্ডাছড়া বাজাজ এর যাবতীয় আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে৷ দীর্ঘ বছরের পর বছর আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকার পর কোন রাজারা মহাকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ব্যবসায়ী মহল থেকে সন্তোষ ব্যক্ত করা হয়েছে৷