নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ ধর্মনগর এস ডি এম অফিস চত্বরে দালালদের দুর্নীতির কাহিনী বারে বারে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলেও কোনভাবেই এদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে আধিকারিকরা৷ কারণ কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারী তাদেরকে টাকার বিনিময় দুর্নীতি করার যোগান দিয়ে যাচ্ছে৷ অফিসের কিছু সংখ্যক কর্মচারী দালালদের সুবিধার্থে অফিসের অনেক গোপন খবর তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে বিনিময় নিজেরা উৎকোচ গ্রহণ করছে৷
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে মহকুমা শাসকের অফিসের গ্রুপ ডি কর্মচারী নেতা প্রণয় দেব গত মাসে ৩০ তারিখ অবসর গ্রহণ করলেও এখনো দালালদের সুবিধার্থে সঠিক সময়ে অফিসে এসে তাদের কাজ করে যাচ্ছে এবং গোপন খবর দালালদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে৷ তাকে যোগ্য সহায়তা করে সরকারি কর্মচারী কুনাল চক্রবর্তীর নাম উঠে এসেছে৷ বর্তমান মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এল ডারলঙ অফিসে যোগদান করার পর বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর লোভের কারণে৷ তারা আগে থেকেই গোপন খবর দালালদের কাছে পৌঁছে দিয়ে দালালদের বাঁচিয়ে দিচ্ছে৷ ধর্মনগরের সাধারণ জনসাধারণ চাইছে বর্তমান এস ডি এম যাতে দালালদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাধারণ মানুষকে দালালদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করে৷ তবে সর্ষের মধ্যে যে ভূত লুকিয়ে আছে, তাদেরকে অপসারণ না করলে কোন ভাবেই কোনো ভালো কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না৷
ধর্মনগরের বিধায়ক তথা উপাধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন বেশ কয়েকবার তার শোধরানোর চেষ্টা করলেও সর্ষের ভূত কে না সরানোতে তা সঠিক বাস্তবায়নের রূপ নিতে পারেনি৷ আধার কার্ড ওবিসি সার্টিফিকেট রেশন কার্ড এবং জমির দালালি প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ধর্মনগরের সাধারণ বাসীরা দালাল এবং কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারী নেতা কারণে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছে৷ তারা আগেও মানুষকে প্রতারনার জালে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে এখনো একই স্বভাব বজায় রেখে মানুষকে প্রতারণার জলে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন ছাড়াও উপার্জন করে চলেছে৷ রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা কি পারবেন এইসব কর্মচারী নেতা এবং তারা ওদের থেকে সাধারণ ধর্ম নগরবাসীকে উদ্ধার করতে?