নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মে৷৷ বিশালগড়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে ময়দানের নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বামফ্রন্ট৷ এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের নেতৃত্বে বামফ্রন্টের বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল বিশালগড় সফর করেন৷ এদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় মানিক সরকারের নেতৃত্বে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক শহীদ চৌধুরী, ভানু লাল সাহা রতন ভৌমিক বিশালগড় অফিসের স্থিত বামফ্রন্টের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়৷ সেখানে বিশালগড় মহাকুমার এর বিভিন্ন লোকাল কমিটির ও মহাকুমার কমিটি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন৷
আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশালগড় একইভাবে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়া যায় তা আলোচনায় উঠে আসে৷ মহাকুমার সম্পাদক পার্থপ্রতিম মজুমদার ছাড়াও বিশালগড় বামফ্রন্টের প্রথম সারির নেতারা সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন৷ যদিও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের তথা বিশালগড় বাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জ্বলন্ত সমস্যা গুলি নিয়ে আলোচনা করা৷ যেমন বিশালগড় শহরে বুক চিরে প্রবাহিত বিজয় নদ ভাঙ্গন রোধ, বাম আমলে যে সমস্ত সড়ক ও রাস্তাঘাট গুলি বিশালগড়ে তৈরি করা হয়েছিল সেগুলির আজ বেহাল দশা তার তালিকা তৈরি করা, প্রকৃত ভাতা প্রাপক দের মধ্যে কাদের কাদের ভাতা কেটে দেওয়া হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করা,সহ সাধারণ মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জ্বলন্ত সমস্যা গুলি কে চিহ্ণিত করে তার তালিকা তৈরী করা৷ এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেই তালিকা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে ডেপুটেশনে মিলিত হবে নেতৃত্ব৷ মোট কথা হচ্ছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে গাণিতিক হিসাব করে বিশাল ঘরের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার রণকৌশল তৈরি করা৷
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিধায়ক দলের এই সভাকে ঘিরে অফিস টিলার জুড়ে পুলিশ অফিসার ঢেলে সাজানো হয়৷ মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাসের নেতৃত্বে প্রচুর পরিমাণে টছট্ট জোয়ান ও বিশালগড় থানা ওসি হিমাদ্রী দাস সহ বেশ কয়েকজন অফিসার কে নামানো হয়৷রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশালগড় মন্ডল এর উদ্যোগে এদিন বিকেলে শুভেচ্ছা মিছিল বের হয়৷ মিছিলটি সমগ্র বিশালগড় বাজার পরিক্রমা শেষে অফিস টিলা স্থিত বামফ্রন্টের দলীয় কার্যালয়ের পাশে এসে শেষ হয়৷ মিছিল প্রায় শেষ এমন সময় বিরোধী দলনেতা মানিক সাহা সেখানে এসে পা রাখেন৷ তবে কোন রোগ অপ্রীতিকর ঘটনা তো দূরের কথা খুব সুশৃংখলভাবে মিছিল শেষে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা যে যার মতো করে নিজেদের গন্তব্য স্থানে চলে যায়