গণ্ডাছড়া, ১৩ মে : গন্ডাছড়া মহকুমা অফিসে আধার কার্ড নিয়ে চুড়ান্ত দূনীতি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই দূনীতির আখরা মহকুমা অফিস চত্তরে। মহকুমা শাসককে ঘুমে রেখে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন অভিযোগ।
অভিযোগ থাকা সত্যেও মহকুমা শাসকের নিরব ভূমিকায় দালালচক্র আরো জাকিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।গন্ডাছড়া মহকুমা ধলাই জেলার মানচিত্রে পিছিয়ে পড়া মহকুমা হিসেবে পরিচিত। এডিসি ভিলেজগুলিত রাস্তার মান এখনো উন্নতি হয়নি। ফলে পাহাড়ের দূর্গম এলাকা থেকে গন্ডাছড়া মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে আসতে হলে একশত টাকা গাড়ি ভাড়া দিতে হয়। অধিকাংশ জনজাতির একমাত্র উপার্জনের পথ জঙ্গলের শাক, সবজি, লতাপাতা এরং বাঁশের করোল। তা বিক্রি করেই সংসার চালান। গন্ডাছড়ায় বৃহস্পতিবার হাটবার। এদিন সামগ্রী বিক্রি করতে আসেন। এই সময় তারা তাদের এবং পরিবারের সদস্যদের আধার মডিফাইড করতে আসেন।
রাবনপাড়া, হনুমানপাড়া, কসরাই, বাজিলা, ধনুরাম, কর্ণকিশুর পাড়া, ভগীরথ, দলপতি এই সকল পাড়া থেকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে তারা আসেন আধার কার্ড মডিফাইড করার জন্য। সারাদিন বসে থেকে মডিফাইড করতে পারছেন না। দেখা যায় যে এই দালাল চক্রকে ধরলে একশত মানুষ থাকলেও লাইনে দাঁড়াতে হয় না। আধার কার্ড মডিফাইডহ করতে আসা এই চক্রকে ৩০০শত টাকা দিলে যত বড় লাইন থাকুনা না কেন তাদের আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এই ভাবে সাধারণ মানুষকে লুটছেন এই চক্র বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
বাধ্য হয়ে তারা এই টাকা দিচ্ছেন। কারণ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। রাত হলে বাড়ি ফেরা যাবেনা। তাছাড়া পরিবারের সবাইকে পরের সাপ্তাহে এতগুলো ভাড়া দিয়ে আসা সম্ভবের বাইরে তাদের। তাই বাধ্য হয়ে দালালদের ধরতে হচ্ছে বলে জানান গিরিবাসী।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক বাংলাদেশীও পার পেয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছে সমস্ত রকমের নথিপত্র রয়েছে। দাবি উঠেছে, আধার কার্ড করতে গিয়ে দালাল চক্রের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা হোক।