আগরতলা, ৬ মে (হি. স.) : উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে মানুষের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত হলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হয়। ত্রিপুরার বর্তমান সরকার এই নীতি মেনে কাজ করে চলেছে। সরকার ও মানুষ একসাথে মিলে কাজ করলে উন্নয়নেও গতি আসে। এজন্যই ত্রিপুরায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে। আজ বামুটিয়া ব্লকের অন্তর্গত বামুটিয়া ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের নর্থ ইস্ট রিজিওনাল পাওয়ার সিস্টেম ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের অধীন ৭টি পাওয়ার প্রজেক্টের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন।
তাঁর কথায়, গ্রামের উন্নতি না হলে কখনোই সমাজের সার্বিক উন্নয়ন হতে পারে না। এজন্য রাজ্য সরকার গ্রাম ত্রিপুরার উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। গ্রামীণ অংশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উন্নয়ন কথাটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যে পরিষেবাটি যুক্ত রয়েছে তা হচ্ছে বিদ্যুৎ।
এদিন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদর্শ ত্রিপুরা রাজ্য গড়ে তুলতে বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে গোটা রাজ্যেই বিভিন্ন সাব স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় থাকে সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন সাব স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বামুটিয়ায় ৩৩ কেভি সাব স্টেশনটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এই সাব স্টেশনটি হওয়ার ফলে বামুটিয়া, গান্ধীগ্রাম, দুর্গাবাড়ি, কালীবাজার, তালতলা, ঝড়ঝড়িয়া এলাকার ৮ হাজার পরিবার উপকৃত হবে।তাঁর দাবি, ত্রিপুরার বর্তমান সরকার ভোক্তাদের উপর যাতে চাপ না পড়ে সেজন্য বিদ্যুতের মাশুল এক টাকাও বাড়ায়নি। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে অর্থের সংস্থান করা হয়েছে। বিদ্যুৎ অপচয় না করতে এবং সময় মতো বিদ্যুতের বিল দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।