নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ মে৷৷ রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্টা হওয়ার আগে নেতা মন্ত্রী বিধায়করা বলেছিলেন সবকা সাথ সবকা বিকাশ করা হবে৷ কিন্তু সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চার বছর হয়ে গেছে জনজাতি গিরিকন্দরে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে৷ তার একটি বাস্তব চিত্র গন্ডা ছড়ায় পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ অসহায় জনজাতি ছাত্রদের চিত্র দেখলে হতবাক হতে হয়৷ গন্ডাছড়া মহাকুমার থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার জগবন্ধু পাড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় ছাত্রাবাস৷ অসহায় মা বাবা,যখন নিরুপায় হয়ে পড়েন,প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যখন পাশ করে ৬ষ্টশ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয় ছেলে মেয়ে তখন মা বাবার মনে আশা যাগে যে তার ছেলে বা মেয়েকে আরো পড়াবেন৷ কিন্তূ সূকল থেকে বাড়ি প্রায় পনের বিশ কিলোমিটার দূর৷ তখন মা বাবার মনে আশা জাগে যে তার ছেলে মেয়েকে সুকল হোষ্টেলে রেখে তাদের মনের যে আশা স্বপ্ণ ছিল তা পুরণ করবেন৷
সেই আশা নিয়ে দূর অন্ত৷ জনজাতি ছেলে মেয়েদের একটি মাএ আশ্রয় স্থল সরকারি হোস্টেল৷অসহায় ছাএ ছাএীদের সকরারি হোষ্টেল ভর্তি করেন শিক্ষার জন্য৷সেখানে এসে যদি পড়াশুনা করতে না পারে তবে কি যে অসহায় হত দরিদ্র মাতা পিতার স্বপ্ণ পূরণ তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ না করলে বুঝে ওঠা কষ্টকর৷
এমন একটি বাস্তব চিত্র গন্ডাছড়া মহাকুমার থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার জগবন্ধু পাড়া ভিলেজের জগবন্ধু দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় জনজাতি ছাত্রাবাস৷ এই ছাত্রাবাসটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯৯ সনে এই ৫০টি সিট নিয়ে৷ করা হয়েছিল জনজাতি ছাত্রাবাস৷ হয়েছে ছাত্রাবাসটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা নিয়েছেন৷ ছাত্রদের অভিযোগ নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা বিদ্যুৎ লাইন ছিন্নভিন্ন হয়ে আছে রাত্রিবেলা মোম জ্বালিয়ে পড়তে হয়৷ মোম শেষ হয়ে গেলে ঘুমিয়ে থাকতে হয় সন্ধ্যারাতে৷ অসহায় ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন কোথায়পাবে টাকা মোম কিনার জন্য টাকা৷ জানান ছাত্রাবাসের ছাত্ররা৷
গরমের দাপট ঘুমানো যায় না৷ তারপর ও এই হোস্টেলে ঘুমানোর পর্যাপ্ত বিছানা এবং খাট নেই৷ শুতে হয় মধ্যে দুটি বেঞ্চকে এক সাথে জুড়য়া গিয়ে শুতে হয়, নতুবা পাকার মধ্যে হয়৷
এই নিয়ে একাধিকবার সুকল উন্নয়ন কমিটি কে জানানো হলেও কোনো কর্ণপাত নেই৷ তাদের যেমন নেই, নেই শিক্ষা দপ্তরের কোন দৌড়ঝাঁপ হেলদোল৷এক বিচিত্র ছাত্রবাসের অবস্থা কখন ভেঙে পড়বে তারও কোন ঠিক নেই৷ পাচ্ছেন না হোস্টেলের ছাত্রছাত্রীরা তাদের স্টাইপেন্ড৷ জনজাতি কল্যাণ দপ্তর এর কিছু কর্মচারী বর্তমান সরকারকে বদনাম করার জন্য তারা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন৷অডিট এর মাধ্যমে উঠে আসার পরও গন্ডাছড়া মহাকুমার জনজাতি কল্যাণ দপ্তর দুই কর্মচারী ছাত্র-ছাত্রীদের এই টাকা আত্মসাৎ করে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন৷তাদের বিরুদ্ধে নেই কোন তদন্ত৷ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ এখনো পর্যন্ত তারা কোনো স্টাইফেন পাচ্ছেন না বলে জানান৷ বর্তমান সরকারের আইপিএফটি বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা শপথের দিন বলেছিলেন যে আমার প্রথম কাজ শিক্ষাকে বাস্তবায়ন করা৷
জনজাতি ছাত্ররা ছাএীরা শিক্ষার আলো থেকে পিছিয়ে পড়েছে পিছিয়ে পড়া জনজাতি ছাএ ছাএীদের শিক্ষার আলোতে নিয়ে আহতে হবে৷ শিক্ষা থেকে পিছিয়ে গেছে যারা তাদেরকে শিক্ষার আলোকে নিয়ে আসা আমার প্রথম কাজ৷ মাননীয় বিধায়ক ভুলে গেছেন হয়তোবা, গন্ডাছড়া মহাকুমার থেকে প্রায় ৭কিলোমিটার দূরত্বে জগবন্ধু পাড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় একটি জনজাতির ছাত্রবাস আছে৷ এই ছাত্রবাসে যে ছোট ছোট ছেলেরা আছে৷ তারা কি অবস্থায় আছে একবার কি গিয়েছেন তাদের কাছে৷ দেখেছেন তাদের অবস্থা৷ গন্ডাছড়া জনজাতি কল্যান দপ্তরের অধীনে ছাএ ছাএীদের স্টাইপেন্ডএর টাকা দপ্তরের ২ কর্মচারী যে আত্মসাৎ করে বসে আছেন তিনি কি তা জানেন? এটাই কি উনার উন্নয়েনের প্রথম কাজ৷ যে শপথ নেওয়ার পর বলেছিলেন উন্নয়ন প্রথম কাজ, জনজাতি ছেলেমেয়েদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি কি পালন করতে সক্ষম হয়েছেন?৷তাদের কতটুকু শিক্ষার আলোর মধ্যে নিয়ে আসতে পেরেছেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷