Suicide : বিষপানে থানায় আত্মঘাতী প্রেমিক যুগল, পুলিশী হেফাজতে হয়নি ঘটনা, দাবি এসডিপিও-র

শিলাছড়ি(ত্রিপুরা), ২৫ এপ্রিল(হি. স.) : ভালবাসা মানেনি পরিবার। তাই, হয়তো আলাদা থাকার থেকে আত্মহত্যা শ্রেয় বলে মনে করেছেন শিলাছড়ির আনন্দ চাকমা(২১) ও কাঞ্চনমালা চাকমা(২১)। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তাঁদের রবিবার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছিল। পুলিশী হেফাজতেই সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে তাঁরা বিষপানে আত্মঘাতী হন, এমনটাই দাবি পরিবারের। থানায় প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজু রিয়াং দাবি করেন, থানায় আনার অনেক আগেই দুজনে বিষপান করেছিলেন। ওই বিষের প্রভাব অনেকটা দেরিতে হওয়ায় মনে হচ্ছে তাঁরা থানায় আত্মঘাতী হয়েছেন।

খবরে প্রকাশ, শিলাছড়ির বাসিন্দা আনন্দ চাকমা ও রইস্যাবাড়ির বাসিন্দা কাঞ্চনমালা চাকমার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলেও মেয়ের বাবার ঐ সম্পর্ক মেনে নিতে আপত্তি ছিল। কিছুদিন আগে দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু মেয়ের বাবা পুলিশের সাহায্য নেন এবং পুলিশ তাদের উদ্ধার করে রবিবার শিলাছড়ি থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু থানায় আসার পরেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তাঁরা বিষপান করেছেন বলে দাবি পরিবারের।

রাতেই তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের গোমতী জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্ত গোমতী জেলা হাসপাতালেও চিকিত্সকরা অবস্থা সঙ্কটজনক দেখে তাঁদের আগরতলায় জিবিপি হাসপাতালে রেফার করে দেন। তবে, শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। জিবিপি হাসপাতালে আসার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কাঞ্চনমালা চাকমা। অপরদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জি বি হাসপাতালে সোমবার সকালে আনন্দ চাকমারও মৃত্যু হয়েছে।

ওই ঘটনায় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজু রিয়াং দাবি করেন, ওই দুই প্রেমিক যুগল থানায় আত্মঘাতী হননি। তাঁরা অনেক আগেই বিষপান করেছিলেন। যার প্রভাব থানায় আনার পর দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওই দুইজনকে থানায় লকআপে রাখা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজে সমস্ত কিছুর প্রমাণ মিলবে। তবুও, বিভাগীয় তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *