বঙাইগাঁও (অসম), ২৪ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে গ্রেফতার হয়েছে আরও এক জেহাদি। এবার বঙাইগাঁওয়ে গ্ৰেফতার করা হয়েছে সায়েদ আহমেদ নামের এক জেহাদিকে। তার কাছ থেকে জেহাদি প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন সহ বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার বঙাইগাঁওয়ের পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা সাংবাদিক সম্মলেনের আয়োজন করে শুনিয়েছেন বহু উদ্বেগজনক খবর৷ তিনি জানান, ধৃত জেহাদি সায়েদ আহমেদ তিন নম্বর ভাণ্ডারার বাসিন্দা৷ ত্ৰিপুরার ইমরান হুসেন নামের দুর্ধর্ষ জেহাদি সায়েদ আহমেদের ঘরে ঘাঁটি গেড়েছিল৷ তার ঘরে অবস্থান করে বঙাইগাঁও এবং বরপেটা জেলার মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন স্থানে স্লিপার সেল স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছিল সে৷
পুলিশ সুপার জানান, যোগীঘোপায় হামিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির গ্যারেজে তালাশি চালিয়ে পুলিশ বহু আপত্তিজনক তথ্যও উদ্ধার করেছে৷ গ্যারেজ থেকে সাতটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট, জেহাদ সম্পৰ্কিত বই ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ হামিদুল ইসলাম ফেরার৷ এছাড়া হাউলির ধাকলিয়াপাড়ায় জেহাদির প্ৰশিক্ষণ শিবির স্থাপনের তথ্যও তাঁরা লাভ করেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুই ব্যাচকে প্ৰশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ওই শিবিরে৷
এসপি স্বপ্ননীল ডেকা বলেন, গত ৮ এপ্ৰিল ত্ৰিপুরায় গ্ৰেফতার হয়েছিল তিন জেহাদি৷ পরবৰ্তীতে বঙাইগাঁও পুলিশ নিজেদের জিম্মাত নিয়েছিল ইমরান হুসেন, আব্দুল কাশেম এবং হামিদ আলিকে। তিনি জানান, এদের জেরা করে বরপেটা ও বঙাইগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে জেহাদি ঘাঁটি স্থাপনের তথ্যও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ ইমরান হুসেন বঙাইগাঁও এসে জেহাদি সংগঠনের বিস্তারের কাজ চালাচ্ছিল, সাংবাদিক সম্মেলনে জানান পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা৷ এরা সকলেই আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট-এর সঙ্গে প্ৰত্যক্ষভাবে জড়িত আনসারুল বাংলার স্লিপার সেল হিসেবে কর্মরত জেহাদি, জানান তিনি।