কয়েক বছর ধ‌রে বন্ধ করিমগঞ্জের মানিকবন্দ গ্রামের অঙ্গনওয়া‌ড়ি কেন্দ্র, প্রতিবা‌দে সোচ্চার স্থানীয়রা

বাজারিছড়া (অসম), ২১ এপ্রিল (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত লোয়াইরপোয়া আইসিডিএস কার্যালয়ের অধীনস্থ বাজা‌রিছড়া এলাকার পূর্ব মানিকবন্দ গ্রামের ১৫৫ নম্বর অঙ্গনওয়া‌ড়ি কেন্দ্রের অচলাবস্থা নি‌য়ে সরব হ‌য়েছেন এলাকার শিক্ষানুরাগীরা।

গ্রামের হেডম্যান উত্তম চড়াই বলেন, গত কয়েক বছর ধ‌রে কেন্দ্রটি‌তে পাঠদান বন্ধ। বিগত দি‌নে এলাকার জনগ‌ণের প্রচেষ্টায় বি‌শিষ্ট নাগ‌রিক বিধুভূষণ মালাকারের দানকৃত জ‌মি‌তে কেন্দ্র‌টি স্থাপন করা হয়েছিল। এর পর যথারী‌তি পাঠদান শুরুও হ‌য়। কিন্তু কিছুদিন পর রহস্যজনকভাবে ১৫৫ নম্বর অঙ্গনওয়া‌ড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী স্নিগ্ধা চড়াই সেন্টারে যাওয়া বন্ধ ক‌রে দেন। এমন-কি ১৫ আগস্ট ও ২৬ জানুয়ারিতেও তাঁকে কে‌ন্দ্রে দেখা যায় না। বিশেষ ওই দিনগুলোতে শুধুামাত্র সহায়িকা কৃষ্ণারানি মালাকার দায়সারাভা‌বে পতাকা উত্তোলন করে চলে যান। এভাবেই বা‌ড়ি‌তে ব‌সেই বকল‌মে চল‌ছে সমাজ কল্যাণ বিভাগের ১৫৫ নম্বর অঙ্গনওয়া‌ড়ি কেন্দ্র।

উত্তম চড়াই আরও বলেন, বিনা কাজে এক জন কর্মচারীকে বেতন দিতে গিয়ে সরকা‌রি টাকার জলে গে‌লেও পশ্চাদপদ এই অঞ্চ‌লের শিশু‌দের শৈক্ষিক ভ‌বিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বলেন, অথচ পার্শ্ববর্তী গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগু‌লো‌তে যথারীতি পঠনপাঠ‌নের পাশাপা‌শি শিশু সহ গর্ভবতী মায়েদের সরকার প্রদত্ত সামগ্রী বণ্টনের কাজ চলছে। সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলতে বিগত দিনে ওই কেন্দ্রের শিশুদের অভিভাবকরা আলোচনা সাপেক্ষে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও অভিযোগ ধোঁপে টেকেনি।

এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার ঝেরঝেরি জিপি সভানেত্রীর প্রতিনিধি আজমত আলি ওই সেন্টার পরিদর্শনে গেলে কেন্দ্রটি বন্ধ দেখে তি‌নিও বিস্ময় প্রকাশ ক‌রেন। এলাকার নমিতা মালাকার, রঙ্গবালা দাস, মায়ারানি দাসদের মু‌খেও একই অভি‌যোগ শোনা গেছে। ‌বিষয়‌টি তদন্তক্রমে খ‌তি‌য়ে দে‌খে সৃষ্ট সমস্যা নিরস‌নে স্থানীয়রা জেলাশাসক, সার্কল অফিসার, সি‌ডি‌পিও সহ স্থানীয় বিধায়কের হস্ত‌ক্ষেপ কামনা ক‌রে‌ছেন।