নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ এপ্রিল৷৷ ধর্মনগর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত দালাল চক্র প্রচন্ড সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ পত্রপত্রিকায় বারে বারে তাদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও উর্ধতন কর্মকর্তারা কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অক্ষমতা দেখিয়েছে৷ বাগবাসা মন্ডলের নাম ভাঙ্গিয়ে খাওয়া রঞ্জিত মালাকারকে একবার ডিসিএম দিব্যশ্রী দাসগুপ্ত হাতেনাতে ধরে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন৷ আজ তাদের দাপটেই মহাকুমা অফিস চত্বরে দালাল রাজ চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে৷ তাদেরকে যথাযথ সহায়তা করে চলেছে জনাকয়েক সরকারি কর্মচারী৷
সোমবার এমনই ঘটনা ধরা দেখা গেল এসডিএম অফিসে৷সরকারি কর্মচারী দীপক নন্দী এক দালালকে দশটি কাগজে সিল দিয়ে দিল অথচ সকাল থেকে যারা আধার কার্ড করতে আসা একটিমাত্র সিলের জন্য অপেক্ষা করছিল তাদেরকে একটু পরে একটু পরে বলে দাঁড় করিয়ে রাখল৷ এভাবেই করণিক পর্যায়ের জনাকয়েক কর্মচারীর কারণে মহাকুমা চত্বরে দালালদের বাড়বাড়ন্ত৷ এই জনাকয়েক সরকারি কর্মচারী কিছুটা উৎকোচের জন্য সাধারণ মানুষকে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার বানিয়ে দালালদের কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছে৷ দীর্ঘদিন ধরে ধর্মনগর মহাকুমা অফিসের কার্যালয় দালালদের কব্জায়৷ সেই বাম আমলে দালাল রাজ শুরু হয়েছিল, এখনো এই রাজ অব্যাহত রয়েছে৷ স্থানীয় বিধায়ক তথা উপাধ্যক্ষ বিশ্ব বন্ধু সেন বারে বারে এগুলি শুধরানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেলেও চার বছর পর দেখা যাচ্ছে সবই অন্তঃসারশূন্য৷ কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারী এখনো সেই উৎকোচের জন্য মানুষকে হয়রানির শিকার করে যাচ্ছে৷ তাদের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি৷ আগে এরা ছিল হগব পন্থী, এখন এরাই নাকি চাদর পাল্টে রাম ভক্ত৷

