বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন : আখাউড়া সীমান্তে জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ রিট্রিট সেরিমনি

আগরতলা, ২৬ মার্চ (হি. স.) : বাংলাদেশের ৫১তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আগরতলা-আখাউড়া চেকপোস্টের জিরো লাইনে যৌথ রিট্রিট সেরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএসএফ পুস্পস্তবক ও উপহার দিয়ে বিজিবিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। উভয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেলে আগরতলা-আখাউড়া চেকপোস্টের জিরো লাইনে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে যৌথ রিট্রিট সেরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের চৌকস দল প্যারেড ও সালাম প্রদান শেষে বিউগলের সুরের সঙ্গে সঙ্গে উভয় দেশের জাতীয় পতাকা নর্মিত করেছে।পরে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে বিজিবিকে ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এসময় বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফ সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময় হয়েছে।শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বিজিবি ও বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

 এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ মারুফুল আবেদীন, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, পিএসসি, আর্টিলারি, মহান জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন-১২ এর মাননীয় সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) সহ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রশাসনের সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।

এছাড়া, ভারত থেকে উপস্থিত ছিলেন গোকুলনগর সেক্টর হেডকোয়ার্টার ডিআইজি ত্রিলোকেশ রঞ্জন লাল, বিএসএফ ১২০ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট রত্নেশ কুমারসহ বিএসএফের কর্মকর্তারা। উভয় দেশের স্থানীয় ও দূর দূরান্ত থেকে আসা লোকজন এই জাঁকজমকপূর্ণ রিট্রিট সেরিমনিটি উপভোগ করেছেন।

এদিন বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ মারুফুল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। তাঁর দাবি, দুই দেশের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে দক্ষতা ও অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সীমান্ত অতন্দ্র প্রহরা দিচ্ছি। উভয় বাহিনী নিজ নিজ সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। উভয় বাহিনী অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব ও পরিবেশ বজায় রেখেছে।

বিএসএফ ১২০ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট রত্নেশ কুমার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ এক গুরুত্বপূর্ন দিন। বিশেষ অনুষ্ঠানকে ঘিরে আজ দুই বাহিনী যৌথ রিট্রিট সেরিমনির আয়োজন করেছে। তাঁর দাবি, দুই দেশের বন্ধুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সমস্ত সীমান্ত সমস্যা উভয় বাহিনী একজোট হয়ে সমাধানে বদ্ধ পরিকর, বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *