ওয়াশিংটন, ২৫ মার্চ (হি.স.) : প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ফ্লোরিডায় ফেডারেল আদালতে মামলা করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন মিথ্যা দাবি তুলে ২০১৬ সালে তার নির্বাচনী প্রচার ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল অভিযোগ তুলে ট্রাম্প হিলারি ছাড়াও ইউনাইটেড স্টেটস ডেমোক্রেটিক পার্টির পরিচালনা পর্ষদ ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটিসহ ২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ফেডারেল আদালতে এ মামলা করা হয়। মামলায় সাত কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, সে সময় এ অভিযোগের কারণে আইনি খরচ এবং অন্যান্য মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ ডলার ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন তিনি।
হিলারি ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি প্রধান ডেবি ওয়াসারম্যান শুলৎজ, ক্লিনটনের প্রচারণা দলের প্রধান জন পোডেস্টা, ‘ট্রাম্প-রাশিয়া ডোসিয়ের’ বইয়ের লেখক ব্রিটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টিল, রাজনৈতিক গবেষণা সংস্থা ফিউশন জিপিএস, ল ফার্ম পারকিনস কোয়ি, সাবেক এফবিআই কর্মকর্তা জেমস কোমি, অ্যান্ড্রু ম্যাকাবি, পিচার স্ট্রোজক, লিসা পেইজ এবং কেভিন ক্লাইনস্মিথ।
১০৮ পৃষ্ঠার মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ‘গবেষণা, তথ্য বিশ্লেষণ ও রাজনৈতিক কৌশলের’ নামে অভিযুক্তরা জনগণের বিশ্বাস বদলে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিলেন। তাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, আর তা হলো—ট্রাম্পকে অপমান করা।
ট্রাম্পের করা মামলার ব্যাপারে হিলারি কিংবা ডেমোক্র্যাট নেতাদের কেউ এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও হিলারির ২০১৬ সালের প্রচারের চেয়ারম্যান ও মামলার অন্যতম অভিযুক্ত জন পডেসিয়া টুইটে বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হচ্ছে, সাক্ষী হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ডাকা হবে এই আশায় ট্রাম্প মামলা করেছেন?’
এর আগে ২০২০ সালে এ বিষয়ে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন সিনেট কমিটির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিচারে বাধা দেওয়ার কিছু উদাহরণ পাওয়া গেছে।অন্যদিকে, নির্বাচনে জেতানোর বিষয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে রাশিয়া।২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই নির্বাচনে জালিয়াতির চেষ্টার অভিযোগটি দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় ছিল। এরপর ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ করেন ট্রাম্প। তবে তার এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।