আগরতলা, ২২ মার্চ : জলের গুরুত্ব এবং তার সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২২ মার্চ সারা বিশ্বের সাথে রাজ্যেও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হল বিশ্ব জল দিবস। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ রাজধানীর গোর্খাবস্তিস্থিত “দ্য ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া)” (ত্রিপুরা স্টেট সেন্টার)এর অফিস ঘরের সেমিনার হলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে “দ্য ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া)” (ত্রিপুরা স্টেট সেন্টার)-এর উদ্যোগে “বিশ্ব জল দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেখানে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করে “ভূগর্ভস্থ জল: অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করা” শীর্ষক একটি আলোচনাসভার সূচনা করলেন রাজ্যের পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা জানি ‘জলই জীবন’। কিন্তু সেই জলকে নানান ভাবে অপচয় করে থাকি। এই জলকে সংরক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস পালন করা হয়। আজও এই দিনটি জল সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে বিশেষ ভাবে পালন করা হচ্ছে। জল সংরক্ষণ এবং নাগরিকদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ‘জল জীবন মিশন’ এর মতো অসংখ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আসুন বিশ্ব জল দিবসে আজ আমরা জলের প্রতিটি ফোঁটা সংরক্ষণ করার জন্য আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি। তাঁর বক্তব্য, আসলে আপাতভাবে সারা বিশ্বে জলসঙ্কটটা হয়তো বোঝা যায় না। কিন্তু চোখ কপালে উঠবে এটা জানলে যে, আজও পৃথিবীতে ২ কোটির বেশি মানুষ সুপেয় জল থেকে বঞ্চিত থেকেই নিত্যদিনের জীবন কাটান! তিনি বলেন, আমাদের রোজকারের জীবনে ছোট্ট পরিবর্তনেই আমরা রোধ করতে পারি জলের অপচয়। সারাদিনের নানা কাজে ব্যাপক ভাবে জল ব্যবহৃত হয়। এই সব কাজ করার সময় যদি আমরা একটু সতর্ক থাকি, তাহলেই ভবিষ্যতের জন্য জল সংরক্ষণ করতে পারব।
তাঁর আহবান, আজ বিশ্ব জল দিবসে সকলের জন্য জলের অধিকার সুরক্ষিত করার অঙ্গীকার আমাদের করতে হবে। এমন একটা দিন আসছে, যখন তীব্র জলসঙ্কটে পড়বে মানবজাতি। তেমন একটা দিন যাতে দেখতে না হয় তার জন্য আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। তাঁর আবেদন, এই বছর সবাই ভূগর্ভস্থ জলের উপর বিশেষভাবে ফোকাস করুন, যা একটি অদৃশ্য সম্পদ যার প্রভাব সর্বত্র দৃশ্যমান। “জল সমস্ত প্রকৃতির চালিকা শক্তি”, তাই আমরা সবাই জল সংরক্ষণ করবো।
আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের তত্বাবধায়ক বাস্তুকার রাজীব মজুমদার, দ্য ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া) (ত্রিপুরা স্টেট সেন্টার)-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার চিন্ময় দেবনাথ, জল সম্পদ দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার বিশ্বজিৎ সাহা, কেন্দ্রীয় সরকারের ভূগর্ভস্থ জল বোর্ডের অফিসার ইনচার্য তথা বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শ্রীমতি রিতু.কে.ওরাং, দ্য ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া) ত্রিপুরা স্টেট সেন্টার এর সম্মানিত সম্পাদক ডক্টর শুভদ্বীপ ভট্টাচার্য্যী-সহ অন্যান্য পদাধিকারী ও সদস্য-সদস্যারা ।