Deputy Chief Minister : ত্রিপুরায় রেগায় কাজ পেতে ও মজুরির জন্য এখন আন্দোলন করতে হয়না : উপমুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২২ মার্চ (হি. স.) : বদলেছে ত্রিপুরা। সহজ হয়েছে মানুষের জীবনযাপন। তাই, ত্রিপুরায় এমজিএন রেগায় কাজ পেতে ও মজুরির জন্য এখন কোন আন্দোলন করতে হয়না। যারা কাজ করছেন তাদের সবার অ্যাকাউন্টেই টাকা সময়মত ঢুকে যাচ্ছে। আজ বিধানসভায় ২০২১-২২ অর্থবছরের অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবীর সমর্থনে এবং বিরোধীদের আনীত ছাটাই প্রস্তাবগুলির বিরোধীতা করে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা দৃঢ়তার সাথে একথা বলেন। তাঁর কথায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে।

আজ বিধানসভায় ২০২১-২২ অর্থবছরের অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের বিরোধীতায় ছাটাই প্রস্তাবের সমর্থনে বিরোধী বিধায়ক ভানু লাল সাহা বলেন, গ্রামোন্নয়ন দফতরে ১০৩৭ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ, রেগায় বরাদ্দ কমে হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। তাতে, নিশ্চিত রেগায় শ্রম দিবস কমবে, গরীবের পকেটে কম অর্থ ঢুকবে। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, বিদ্যুত দফতরেও অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অথচ, বিদ্যুত নিগমের প্রাক্তন সিএমডি ডা. কেলের কীর্তি নিয়ে সরকার নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি সমালোচনা করে বলেন, ডা. কেলে মহা বিপদ ঘটিয়ে গেছেন, যার প্রভাব ঠিকেদাররা অনুভব করতে পারছেন। তাঁর সাফ কথা, অহেতুক টাকা নষ্ট করার কোন যৌক্তিকতা নেই। কারণ, ওই অর্থ খরচের সুফল মানুষের কাছে পৌছাবে না।এদিন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ব্যয় বরাদ্দের দাবীর সমর্থনে এবং বিরোধীদের আনা ছাটাই প্রস্তাবগুলির বিরোধীতা করে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, গত ৭০ বছরে রাজ্যে সমতল এবং পাহাড়ের মধ্যে বৈষম্যমূলক উন্নয়ন হয়েছে। এই সময়ে জনজাতিরা দারুনভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই, জনজাতিদের উন্নয়নের উপর বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। রোজগার সৃষ্টি হয় এমন কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেকের বাড়িতে পানীয়জল পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে জলজীবন মিশনে কাজ হচ্ছে। বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের গাইডলাইন ও যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন পরিবহণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। উভয় পক্ষের আলোচনা শেষে ছাটাই প্রস্তাবগুলি ধ্বনি ভোটে বাতিল হয়ে গেছে এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরের অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দের দাবী গৃহিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *