কলকাতা, ২৪ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : আগামী পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিজেপি-র আর্জি গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এর শুনানী হওয়ার কথা।
রবিবার ১০৮ পুরসভার ভোট। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কি না? কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি হবে না? সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার কমিশনের উপরই ছাড়ে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দেয় যে, কমিশন ১০৮টি পুরসভার বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। রাজ্যের পুলিশপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করবে। কমিশন-ই সিদ্ধান্ত নেবে যে, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না। এখন যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচন হয়, তাহলে কোনও অশান্তি হলে দায়ী থাকবেন কমিশনার। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিজেপি-র আইনজীবী নেতা লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় এই প্রতিবেদককে জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের জন্য বিজেপির দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়ার জন্য কলকাতায় হাইকোর্টের আদেশের প্রতি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি, প্রতাপ ব্যানার্জি বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, ২৪-২-২০২২ তারিখে ডায়েরি নং ৫৮৭২-৩০২২-এ দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷“
প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। এছাড়াও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, ইএফআর জওয়ান, র্যাফের তত্ত্বাবধানে থাকবে বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, আগে ঠিক হয়েছিল ১০৮ পুরসভায় মোট ৪০ হাজার বাহিনী নিয়োগ থাকবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাহিনী সংখ্যা আরও ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে সব মিলিয়ে মোট ৪৪ হাজার রক্ষী মোতায়েন রাখা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিটি পুরসভাতেই পর্যবেক্ষক হিসাবে আইএএস অফিসার নিয়োগ করতে হবে বলেও হাই কোর্টের নির্দেশ।