Yogi Adityanath: উত্তর প্রদেশে গোমাতার হত্যা হতে দেব না : যোগী আদিত্যনাথ

লখনউ, ২৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): উত্তর প্রদেশে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ৪-দফার ভোট, এমতাবস্থায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ জানালেন, “ভোটাররা আমাদের জন্য ঐক্যবদ্ধ।” উত্তর প্রদেশে ‘গোমাতা’-র হত্যা হতে দেব না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, রাজ্যে অবৈধ কসাইখানা চলতে দেবেন না। নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ‘হিন্দুস্থান সমাচার’ সংবাদ সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো পশু (মালিকহীন পশু) সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, আমরা অন্নদাতাদের ফসল নষ্ট হতে দেব না। বিজেপি সরকার এ জন্য অনেক কাজ করেছে। আমাদের কিছু ভালো মডেলও রয়েছে। আমরা শীঘ্রই সেগুলি বাস্তবায়ন করব। ১০ মার্চের পর এই লক্ষ্যে কাজও শুরু হবে, যার মধ্যে অন্যতম হল বড় বড় গোয়ালঘর তৈরি করা।

৪-দফার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর যোগীকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল। এ-সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে জনতাই জনার্দন। আমি নিশ্চিত জনগণ আমাদের কাজের মূল্যায়ন করবেন এবং আবারও বিজেপিকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেবেন। এক্ষেত্রে কোনও সন্দেহ নেই।’ তিনি আরও বলেছেন, জনগণ সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাপ্ত পার্টি এবং কংগ্রেসের কাজকর্ম সম্পর্কে ভালোই অবগত। এবারের নির্বাচনেও তাঁদের উচিত শিক্ষা দেবেন। নির্বাচনী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে বহুজন সমাজ পার্টির প্রতি নরম হওয়ার বিষয়ে একটি প্রশ্নে তিনি বলেছেন, “আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, উভয় দলই সমান দোষী। বিজেপি সরকারের ঠিক আগে সমাজবাদী পার্টির শাসন ছিল। সমাজবাদী পার্টির শাসনের সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সবচেয়ে ‘অকেজো’ মুখ্যমন্ত্রী (অখিলেশ) আখ্যা দিয়েছে একটি প্রখ্যাত পত্রিকা।

বিগত ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কোনও কিছুকেই আমরা কঠিন মনে করিনি। যখনই কোনও চ্যালেঞ্জ থাকে, তখন কাজ করারও সুযোগ থাকে। আমরা যখন উত্তর প্রদেশে শাসনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। রাজ্যের কোথাও না কোথাও ‘দাঙ্গা’ হতো। আমাদের সরকার ‘সকলের নিরাপত্তা, সবাইকে সম্মান’ দেওয়ার কাজ করেছে। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে আমরা রাজ্যের ভাবমূর্তি পাল্টাতে পেরেছি। হিজাব বিতর্ক প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস দেশের ব্যবস্থা সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হবে, শরিয়ত দ্বারা নয়। যদি প্রতিষ্ঠানে কোনও ড্রেস-কোড থাকে তাহলে তা মেনে চলতে হবে। তবে হ্যাঁ, ব্যক্তিগতভাবে বা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে কে কী পরবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত অধিকার।

উত্তর প্রদেশে চতুর্থ দফার নির্বাচনের পর হিন্দুস্থান সমাচার-এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথোপকথনের কিছু অংশ…

প্রশ্ন: অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেও হিন্দুস্থান সমাচার সংবাদ সংস্থাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এত ব্যস্ততার জন্য তো প্রচুর পরিমাণে শক্তির প্রয়োজন হয়। কীভাবে তা সম্ভব করছেন?

উত্তর: দেখুন, শক্তি আসে ইতিবাচক মনোভাব থেকে। আমি মনে করি এটিই প্রথম কারণ। দ্বিতীয় ‘আধ্যাত্মিকতা’ আমাদের সকলের পুঁজি। এমন ধরনের ব্যক্তি যিনি প্রতিদিন যোগব্যায়াম সংক্রান্ত কাজ করেন এবং অবিরাম অনুশীলন করেন, তাঁর মধ্যে শক্তির সঞ্চার হতে থাকে এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই আমরা একটানা কাজ করতে পারছি। ইতিবাচক মনোভাব বজায় রেখে এবং নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ব্যক্তি সবসময় সতেজ থাকবে। আমাদের দৈনন্দিন রুটিন হল ইতিবাচক চেতনা এবং আধ্যাত্মিকতা। এর থেকেই ২৪ ঘন্টা কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি আমরা।

প্রশ্ন: চতুর্থ দফার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আপনার অনুমান কি?

উত্তর: আমি নিশ্চিত ভারতীয় জনতা পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের সরকার গঠন করবে। এতে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

প্রশ্ন: এবার বিজেপি কত আসন পাওয়ার জন্য প্রত্যাশিত?

উত্তর: এটাই হবে প্রথম নির্বাচন, যে নির্বাচনে পরিবারবাদী, দাঙ্গাবাজ ও মাফিয়াবাদীদের জামানত জব্দ হবে। প্রায় ৮০ শতাংশ আসন দখল করবে বিজেপি। তিন শতাধিক আসন পেতে চলেছে বিজেপি জোট।

প্রশ্ন: নির্বাচনী প্রচারের সময় বিজেপি ক্রমাগত জাতপাত ও পরিবারতন্ত্রকে আক্রমণ করছে। আপনার সরকারের বিরুদ্ধেও জাতপাতের অভিযোগ ছিল। আপনি এই বিষয়ে কি বলবেন?

উত্তর: মহাকবি তুলসীদাস একটি সুন্দর লাইন লিখেছেন- ‘জাকি রহি ভাবনা যাইসি, প্রভু মুরত দেখি তিন তয়সি’। আমরা যখন জাতীয়তাবাদের কথা বলি, বিরোধীরা জাতপাতের কথা বলে। আমরা যখন উন্নয়নের কথা বলি, তাঁরা বর্গবাদের কথা বলতে শুরু করে। আমরা যখন দরিদ্রদের কল্যাণের কথা বলি, তাঁরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। এই পার্থক্যই স্পষ্ট করে যে, তাঁদের কোনও উন্নয়নের এজেন্ডা নেই। তাঁরা পরিবারবাদী ও চিন্তাধারায় দাঙ্গাবাজ।

প্রশ্ন: নির্বাচনী প্রচারের সময় সমাজবাদী পার্টি এবং পূর্ববর্তী অখিলেশ সরকারের কাজকেই সর্বাধিক নিশানা করছে বিজেপি, অথচ বিএসপি-র প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখা যাচ্ছে। এমনটা কেন?

উত্তর: আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, উভয় পক্ষই সমানভাবে দোষী। বিজেপি সরকারের ঠিক আগে সমাজবাদী পার্টির শাসন ছিল। সমাজবাদী পার্টির সরকারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সবচেয়ে অকেজো মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছে একটি নামকরা পত্রিকা। তখন রাজ্যে কুশাসন ছিল, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা ছিল। এ সবের থেকে বাঁচিয়ে মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টির ডাবল ইঞ্জিন সরকার যে কাজ করেছে তা চমৎকার।

প্রশ্ন: বিরোধী দলগুলি দাবি করছে হিন্দুদের তুলনায় মুসলিম ভোটাররা বিজেপিকে কম পছন্দ করে। এটার কারণ কি?

উত্তর: আমাদের জন্য প্রতিটি ভোটার ঐক্যবদ্ধ।

প্রশ্ন- এবারের নির্বাচনে বুলডোজার নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। মাফিয়া মুক্ত উত্তর প্রদেশের অভিযানের ব্যাপক প্রশংসা করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে আলোচনা চলছে ১০ মার্চের পরে আপনি ‘ডায়াল বুলডোজার’ চালু করবেন। এর মধ্যে সত্যতা কতটুকু?

উত্তর: উত্তর প্রদেশের বুলডোজার উন্নয়ন ও সুশাসনের ভিত্তি। একদিকে এক্সপ্রেসওয়ে ও অবকাঠামো তৈরি করছে বুলডোজার । অপরদিকে, এটি মাফিয়াদের অবৈধ উপার্জনেও চলে। মাফিয়াদের অনৈতিক উপার্জন জব্দ করে, এটি প্রতিটি দরিদ্রের কাছে দরিদ্র কল্যাণ প্রকল্পগুলি নিয়ে যাওয়ার জন্যও কাজ করে। তাই বিরোধীরা বুলডোজারকে ইস্যু করতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে আমরা বলেছি- এই বিষয়টি ইতিবাচক। আমি আনন্দিত যে বিরোধীরা এটিকে একটি ইস্যু করেছে।

প্রশ্ন: ৮০ বনাম ১০০ অথবা ৯০ বনাম ১০০ বলতে কী বোঝায় তা যদি একটু ব্যাখ্যা করেন?

উত্তর: এটা খুবই সহজ কথা– ৮০ বনাম ২০-র একটি সম্পূর্ণ লড়াই। বিজেপি ৮০ শতাংশ আসন জিতবে, যেখানে ২০ শতাংশ আসন এসপি-বিএসপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ভাগ হবে। ২০১৭ সালেও একই ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালেও এমনটা হয়েছে এবং ২০২২ সালেও হবে।

প্রশ্ন: যদি এমনটা হয়, তাহলে আপনার আগামী সরকারের উন্নয়নের মডেল কী হবে?

উত্তর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণায় আমাদের উন্নয়নের মডেল হল ‘জাতীয়তাবাদ, উন্নয়ন এবং সুশাসন’। এই তিন মতাদর্শকে আবারও এক সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে। আত্মনির্ভর ভারতের পরিকল্পনাকে পূরণ করে প্রতিটি যুবকের হাতে কাজ দেওয়া, প্রতিটি কৃষকের জীবনে সুখ আনা, মহিলাদের স্বনির্ভর করা, সমস্ত নাগরিককে নিরাপদ পরিবেশ দিয়ে তাঁদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি জীবিকার নিশ্চয়তা প্রদান আমাদের সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। আগামী পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশকে মিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। এ জন্য আমরা সুনির্দিষ্ট ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রশ্ন: উত্তর প্রদেশ জনসংখ্যা এবং ভূখণ্ডের দিক থেকে একটি খুবই বড় রাজ্য। আমাদের বলুন বিগত পাঁচ বছরে আপনার জন্য সবচেয়ে কঠিন বা চ্যালেঞ্জিং কাজ কী ছিল?

উত্তর: শুনলে অবাক হবেন, কিন্তু আমরা কঠিন কিছুই মনে করিনি। যখনই কোনও চ্যালেঞ্জ থাকে, তখন কাজ করারও সুযোগ থাকে। আমরা যখন উত্তর প্রদেশে শাসনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। রাজ্যের কোথাও না কোথাও ‘দাঙ্গা’ হতো। অপহরণ, লুট, অনুপ্রবেশ, খুন, দুর্নীতির মতো ঘটনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছিল। আমরা প্রথমে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করেছি। আমাদের সরকার ‘সকলের নিরাপত্তা, সবাইকে সম্মান’ দেওয়ার কাজ করেছে। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যখন পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছি, তখন আমরা বলতে পারি বিগত পাঁচ বছরে কোনও দাঙ্গা হয়নি। উত্তর প্রদেশের অর্থনীতি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। নিশ্চয়ই, আগামী সময়ে উত্তর প্রদেশের অর্থনীতি এক নম্বরে পরিণত হবে।

প্রশ্ন: আপনি ‘পুরোহিত কল্যাণ বোর্ড’ গঠনের কথা বলেছেন। এটা আপনার ইচ্ছে না-কি জনগণের চাওয়া?

উত্তর: উত্তর প্রদেশের প্রতিটি জেলার কমবেশি প্রতিটি গ্রামে একটি করে মন্দির রয়েছে। তাছাড়া আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত একটি বড় অংশ রয়েছে, যা মানুষের বিশ্বাসকে শক্তি জোগায়। তাঁদের কল্যাণে এখনও পর্যন্ত কোনও বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়নি, তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা একটি ‘পুরোহিত কল্যাণ বোর্ড’ গঠন করব। এর পাশাপাশি সংস্কৃত অধ্যয়ন ও শিক্ষাদানকেও উৎসাহিত করা হবে।

প্রশ্ন: বিগত কিছু দিন ধরে হিজাবের বিষয়টি দ্রুত উঠে এসেছে। কর্ণাটকে বজরং দলের এক কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আপনি এই বিষয়ে কি মনে করেন?

উত্তর- আমরা বিশ্বাস করি দেশের ব্যবস্থা সংবিধান দিয়ে চলবে, শরীয়ত দ্বারা নয়। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শৃঙ্খলা থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানে ড্রেস-কোড থাকলে তা কার্যকর করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে বা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে কে কী পরেন তা তাদের ব্যক্তিগত অধিকার।

প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্বাচনের সময় জনগণের মুখে একটি স্লোগান তুলে দিয়েছেন- ‘ইউপি প্লাস যোগী-উপযোগী’ তাহলে এর অর্থটা কী?

উত্তর- গত পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশে যত কাজ হয়েছে তা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশনা এবং অনুপ্রেরণায় সম্ভব হয়েছে। ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন মডেল রাজ্যের মানুষ গ্রহণ করেছেন। ২০২২ সালেও নিশ্চয়ই মানুষ তা গ্রহণ করবেন। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি জনগণের অগাধ স্নেহ, সমর্থন এবং আস্থা বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ।

প্রশ্নঃ কাশী, অযোধ্যা ও বিন্ধ্যাচল ধামের পর শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি নিয়ে কি কোনও পরিকল্পনা আছে?

উত্তর: মথুরা, বৃন্দাবন, বরসানা, গোকুল, গোবর্ধন এই সমস্ত তীর্থস্থানগুলির বিকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সমস্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য গত চার বছর ধরে ‘ব্রজ তীর্থ বিকাশ পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে।

প্রশ্ন: ২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশ এবং ২০১৭ সালের পরে উত্তর প্রদেশে আপনি কী পার্থক্য দেখছেন?

উত্তর: পূর্বের যোজনার ভিত্তি ছিল জাতি ও ধর্ম। ঈদ ও মহরমে বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। হোলি, দীপাবলিতে বিদ্যুৎ চলে যেত। এখন সবাই কোনও রকম বৈষম্য ছাড়াই বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। বিজেপি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে না। বিজেপি সরকারের অধীনে উত্তর প্রদেশের সমস্ত এলাকায় সর্বাত্মক উন্নয়ন হয়েছে।

প্রশ্ন: উত্তর প্রদেশে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো পশু একটি বড় সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সমাধানের কথা বলেছেন। আপনার সরকার আবার ক্ষমতায় এলে কীভাবে সমাধান করবেন?

উত্তর: আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, ‘গোমাতা’-র হত্যা হতে দেব না। অবৈধ কসাইখানা চলতে দেওয়া হবে না। আমরা অন্নদাতাদের ফসল নষ্ট হতে দেব না। বিজেপি সরকার এ জন্য অনেক কাজ করেছে। আমাদের কিছু ভালো মডেলও রয়েছে। আমরা শীঘ্রই সেগুলি বাস্তবায়ন করব। ১০ মার্চের পর এই লক্ষ্যে কাজও শুরু হবে, যার মধ্যে অন্যতম হল বড় বড় গোয়ালঘর তৈরি করা।

প্রশ্ন: যুবসমাজকে নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

উত্তর: বিগত সরকারে আমরা পাঁচ লক্ষ যুবককে চাকরি দিয়েছি। আগামী সরকারে প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে যুবককে চাকরি ও কর্মসংস্থান দেওয়া হবে। সরকার গঠন হলে দুই কোটি তরুণ-তরুণীকে ট্যাবলেট ও ​​স্মার্ট ফোনও দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মেধাবী ছাত্রীদের স্কুটি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে অভ্যুদয় কোচিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *