বেঙ্গালুরু, ১৫ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে স্কুল ইউনিফর্মের রঙের সঙ্গে ম্যাচিং করে মাথায় পরার স্কার্ফ বা হিজাব ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। তাহলে কর্নাটকের স্কুলে কেন তা পরা যাবে না? হিজাব বিতর্কে কর্নাটক হাইকোর্টে চলা মামলায় উঠল এমন তর্ক । মঙ্গলবার মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত আদালতে হিজাব প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের তুলনা টেনেছেন।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি মামলার কথাও তুলে ধরেছেন আইনজীবী। বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালতে মামলা হয়েছিল সেখানকার দক্ষিণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ছাত্রী তাঁর সংস্কৃতিকে মান্যতা দিয়ে নাকে নোলক পরতে পারবে কিনা তা নিয়ে। সেই মামলায় আদালত যা রায় দিয়েছিল তাও তুলে ধরেছেন আইনজীবী। ওই রায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আদালত জানিয়েছিল, এটি স্কুল ইউনিফর্মের ব্যাপার নয়, স্কুল ইউনিফর্মে কিছুটা ছাড় দেওয়ার ব্যাপার।
কর্নাটক হাইকোর্টে আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানিয়েছেন, আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ইতিবাচক। তুর্কির ধর্মনিরপেক্ষতার মতো নেতিবাচক নয়। এখানে সব ধর্মের মানুষের অধিকার সুরক্ষিত।
এর আগে হিজাব মামলায় কর্নাটক হাইকোর্ট বলেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরা উচিত নয় ছাত্রীদের। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা গেছে সুপ্রিম কোর্টেও। তবে দেশের শীর্ষ আদালতে এখনও মামলার শুনানি শুরু হয়নি। হাইকোর্টে আবার এই শুনানি হবে আগামীকাল।