আগরতলা, ১০ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : মৈত্রী সেতু দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণে সূচনা আরও এক ধাপ এগিয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) নির্মাণে আজ সাব্রুমে ভূমি পূজন হয়েছে। বছর দেড়েকের মধ্যে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট নির্মাণ হয়ে যাবে বলে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(এলপিএআই)-র চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র জানিয়েছেন। এদিন ভূমি পূজনে সাব্রুমের বিধায়ক শংকর রায় এবং আগরতলা ল্যান্ড পোর্ট-র ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিধায়ক শংকর রায় বলেন, ত্রিপুরাবাসী তথা সাব্রুমবাসী-র দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। মৈত্রী সেতু দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণ শীঘ্রই শুরু হবে। তাঁর দাবি, স্বপ্ন পূরণে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
এলপিএআই-র চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র বলেন, সাব্রুমে আইসিপি স্থাপনে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। বছর দেড়েকের মধ্যে সম্পুর্ন কাজ সমাপ্ত হয়ে যাবে। তাঁর দাবি, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের অংশেরও কাজ একই সাথে সমাপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, আইসিপি নির্মাণে মোট ২৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। তাতে, শুধু জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৯০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, আইসিপি-র সাথে সাব্রুম রেল স্টেশনের সংযোগ স্থাপন করা হবে। তাতে, কন্টেইনার সোজা আইসিপি পর্যন্ত চলে আসবে।
সম্প্রতি ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব বলেছিলেন, বিদেশের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের কাজ এখন জোর গতিতে চলছে। এজন্য বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাব্রুমে ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরাসরি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে কাজে লাগিয়ে আমদানি ও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

