তেলিয়ামুড়া, ৮ ফেব্রুয়ারি : প্রত্যন্ত এলাকার গিরিবাসী রমণীদের অভ্যাস রিশা, পাছড়া সহ রকমারি সামগ্রী তৈরি করা। এটা তাদের আয় উপার্জনের একটা মাধ্যমও বটে। অনেক গিরিবাসি পরিবার চিরাচরিত বস্ত্রাদি তৈরি করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। অর্থাৎ নিজেরাই স্বাবলম্বী হওয়ার পথ অনুসরণ করে তাদের পোশাক পরিচ্ছদ তৈরি করে। এমনই এক বাস্তব চিত্র পাওয়া গেল শুদ্ধ করকরি এ.ডি.সি ভিলেজের বাবুমনি পাড়ায়। খবরের সন্ধানে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল জনৈক উপজাতি রমণী পাছড়া তৈরিতে ব্যাস্ত নিজেদের ছন্দে। তারা সর্বদা ব্যাস্ত থাকতে অভ্যস্ত।
কথা প্রসঙ্গে মঙ্গল কুমারী রাঙ্খল জানান, বর্তমানে পাছড়া, রিশা সহ জনজাতি চিরাচরিত পোশাক-পরিচ্ছদ তৈরি করার জন্য যে সুতো ব্যাবহার করা হয় সেগুলোর দাম বাজারে আকাশ ছোঁয়া। ফলে তারা সুতো ক্রয় করে পাছড়া সহ জনজাতির চিরাচরিত পোশাক-আশাক তৈরি করা এবং সেগুলি বিক্রি করে ততটা আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান নন।
তারা যদি সরকারিভাবে তাদের বস্ত্রাদি তৈরি করার উপকরণ গুলো পান, তবে অতি সহজেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবেন, এমনটাই দাবি মঙ্গল কুমারী রাঙ্খলের। তাঁর দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন বলছেন আত্মনির্ভর ত্রিপুরা করার কথা সেই জায়গায় দাড়িয়ে যদি রাজ্য সরকার আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে আত্মনির্ভর ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে জনজাতি রমণীরা।