দেশের উদ্ভাবকরা বিশ্বব্যাপী ভারতকে গর্বিত করছেন : প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ১৫ জানুয়ারি (হি.স.): দেশের উদ্ভাবকরা বিশ্বব্যাপী ভারতকে গর্বিত করছেন। স্টার্ট-আপগুলিই নতুন ভারতের মেরুদণ্ড হতে চলেছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বিভিন্ন স্টার্ট-আপের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আলাপচারিতায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “১৬ জানুয়ারি দিনটি জাতীয় স্টার্ট-আপ দিবস হিসেবে পালিত হবে। স্টার্ট-আপগুলি নতুন ভারতের মেরুদণ্ড হতে চলেছে। ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, তখন স্টার্ট-আপগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। দেশের উদ্ভাবকরা বিশ্বব্যাপী দেশকে গর্বিত করছেন।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “এই দশককে ভারতের ‘টেকডে’ বলা হচ্ছে…উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা এবং স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে উদ্যোক্তা, সরকারি প্রক্রিয়া থেকে উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের প্রচেষ্টা হল উদ্ভাবনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া, শৈশব থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করা। বর্তমানে ৯ হাজারেরও বেশি অটল টিঙ্কারিং ল্যাব শিশুদের স্কুলে উদ্ভাবন করার, নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করার সুযোগ প্রদান করছে। যুবসমাজের সক্ষমতা ও সৃজনশীলতার ওপর বিশ্বাসই যে কোনও দেশের উন্নয়নের ভিত্তি। ভারত নিজের যুব প্রজন্মকে বিশ্বাস করে এবং সেই লক্ষ্যে সঙ্গতি রেখে নীতি তৈরি করছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “উদ্ভাবন নিয়ে ভারতে যে অভিযান চলছে, তার প্রভাবেই বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ভারতের র‌্যাঙ্কিংও অনেক উন্নত হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারত এই র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮১ নম্বরে ছিল। এখন ভারত উদ্ভাবন সূচকে ৪৬ নম্বরে রয়েছে।” মোদীর সংযোজন, “ভারতের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম ক্রমাগত নিজেকে আবিষ্কার ও উন্নতি করছে। ভারতের স্টার্ট-আপগুলি এখন ৫৫টি বিভিন্ন শিল্পে কাজ করছে। পাঁচ বছর আগে, ভারতে ৫০০টি স্টার্ট-আপও ছিল না! এখন সেই সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে।” তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, “আমি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নিজেদের স্বপ্নকে বৈশ্বিক করুন, শুধুমাত্র স্থানীয় নয়। আসুন আমরা ভারতের জন্য উদ্ভাবন করি, ভারত থেকে উদ্ভাবন করি।”