দোমোহনির কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪ জনের, চলছে উদ্ধার কাজ

ময়নাগুড়ি, ১৩ জানুয়ারি (হি.স.): জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে দোমোহনির কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা । লাইনচ্যুত হয়ে গেল গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস ১৫৬৩৩ (আপ)-এর চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি থেকে অনেকে নিজে বার হয়ে এসেছেন। বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ৪০জনকে উদ্ধার করা হয়েছে । তার মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে । ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ।ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের উদ্ধারকারী দলও। ইতিমধ্যেই আশপাশের সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে অসমের গুয়াহাটিগামী ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দোমোহনির কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি উদ্ধারকারী দল। ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে।

পটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি উদ্ধারকারী দল। ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনও জানতে পারিনি। জানলেই জানাব।’’পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য উদ্ধারকাজ।’’

আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপ সিংবলেন, ‘‘লাইনচ্যুত হয়েছে বিকানের এক্সপ্রেস। এখনও হতাহতের খবর নেই। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আগে উদ্ধার কাজ। পরে অন্য কিছু। চারটে কামরা উল্টেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি।’’যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি থেকে অনেকে নিজে বার হয়ে এসেছেন। বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের উদ্ধারকারী দলও। ইতিমধ্যেই আশপাশের সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।দুর্ঘটনার সময় রেললাইনের কী অবস্থা ছিল, দুর্ঘটনার জেরে কামরাগুলিতে কী প্রভাব পড়েছে এবং সেগুলি কতটা দূরে ছিটকে পড়েছে তা প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি তৈরির প্রাথমিক কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।