কলকাতা, ৭ জানুয়ারি (হি. স.) : “কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই কাজ করেছি। কিন্তু রাজ্যপাল না জেনেই প্রশ্ন করেছেন।” চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে ভার্চুয়ালি উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর সামনেই রাজ্যপালকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে করোনা কালে পরামর্শদাতা নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিষয়টিকে তুলে ধরেই প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাজ্যপালকে জবাব দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, “একটা কথা স্পষ্ট, কেন্দ্র আমাদের যা নির্দেশিকা গাইডলাইন দেয়, আমরা সেটা অনুসরণ করেই কাজ করি। আমাদের চলার পথটা যতই আলাদা হোক না কেন!” বিভিন্ন দফতরে পরামর্শদাতা কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য গত মাসেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন। রাজ্যের প্রায় ৪০টি দফতরে পরামর্শদাতা ও বরিষ্ঠ পরামর্শদাতা নিয়োগের কথা। এই নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল।টুইটে রাজ্যপাল জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে যেতে হবে। স্বভাবতই রাজ্যপালের এই টুইট ঘিরে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয় রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের বহু প্রকল্প। সেগুলি আরও ভালভাবে নজরদারির জন্য বিভিন্ন দফতরে পরামর্শদাতা ও পেশাদার পরামর্শদাতা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। যদিও এই নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি। নবান্নের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই নিয়ে টুইট করেন।কিন্তু আজ, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, আদতে তিনি কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু বলেননি। রাজ্যপালের তরফেও বিকেল পর্যন্ত নতুন করে মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া।

