কলকাতা, ৫ জানুয়ারি (হি.স.): বাতিল করা হয়েছিল প্রথম ট্রেন, দ্বিতীয় ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে বারণ করা হয়। কারণ, ওই ট্রেনটি ছিল স্টাফ স্পেশ্যাল। এরই প্রতিবাদে বুধবার ভোরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের অধিকাংশই পেশায় ফুল চাষি ও ফুল বিক্রেতা। অনেকে আবার পরিচারিকা, যাঁরা প্রতিদিন উপার্জনের জন্য শহর কলকাতায় আসেন। যাত্রীদের বক্তব্য, ভোরের ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হলে তাঁদের রোজগারে টান পড়বে। সংসার চালাতে সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের। তাই আগের মতোই ট্রেন চালাতে হবে।
ঠাকুরনগর স্টেশনেও ভোর ৪.৪০ মিনিট থেকে অবরোধ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা জানিয়েছেন, এদিন ভোরে প্রথম ট্রেনে বাতিল করা হয়। এরপর দ্বিতীয় ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হয়নি, বলা হয় স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠলে জরিমানা করা হবে। এরপরই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীদের বেশিরভাগই মহিলা ও ফুল বিক্রেতা। যাত্রীদের মধ্যে অনেক মহিলাই রয়েছেন, যাঁরা কলকাতা বা শহরতলিতে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। আবার ফুল বিক্রেতারাও রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুল নিয়ে যেতে না পারলে তা অবিক্রিত থেকে যাবে। তাঁরা ঠাকুরনগর স্টেশনের কাছে রেলগেটে অবরোধ শুরু করেন। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। যাত্রীরা অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

