নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.): রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক বয়কট করল কংগ্রেস, তৃণমূল ও শিবসেনা-সহ ৫টি দল। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ সংসদের লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যে সমস্ত দলের সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা বামেদের বৈঠকে ডাকা হয়। শুধুমাত্র ৪টি দলকে ডাকার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও বামেদের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে তাঁরা জানান, ১২ জন সাংসদের সাসপেনসনের প্রতিবাদে সমস্ত বিরোধী দলই ঐক্যবদ্ধ। অচলাবস্থা নিরসনের জন্য আমরা ২৯ নভেম্বর থেকেই অনুরোধ করে আসছি। পাশাপাশি শুধুমাত্র ৪টি বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকে ডাকার সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।
মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন বলেছেন, “রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদকে সাসপেনশনের বিষয়ে ৪টি বিরোধী দলকে ডেকেছে সরকার। এটা বিরোধীদের ঐক্য ভাঙার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। এ ব্যাপারে বৈঠক করতে হলে ডাকতে হবে সব দলকে। আমরা এ বিষয়ে সরকারকে জানিয়েছি।” সরকারের ডাকা বৈঠকে যোগ দেবেন কি দেবেন না, এ বিষয়ে এদিন সকালেই একপ্রস্থ বৈঠক করেছিলেন বিরোধীরা। শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, “সরকারের ডাকা বৈঠকে আমরা যোগ দিচ্ছি না। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রর ইস্তফা ও ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানাব আমরা। সংসদের উভয়কক্ষকে আমরা চলতে দেব না।”
সরকারের ডাকা বৈঠক বয়কট করায় বিরোধীদের বিঁধেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “আসলে মানুষই ওদের বয়কট করেছে।” তিনি বলেছেন, “সমাধান খুঁজতে আমরা যে দলগুলির সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই দলগুলির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বৈঠক বয়কট করছে। তাঁরা সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিল। তাঁদের বোঝা উচিত, মানুষও তাঁদের বয়কট করছে।” উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে এর আগে গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় কংগ্রেসের ৬, তৃণমূল ও শিবসেনার ২ জন করে, সিপিএম ও সিপিআইয়ের একজন করে রাজ্যসভার মোট ১২ জন সাংসদকে।