নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ নভেম্বর৷৷ বেপাত্তা হয়ে গেছেন আই-প্যাকের ২২ জন কর্মচারী৷ আদালতের নির্দেশ মেনে তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, এমনকি ত্রিপুরা পুলিশের পাঠানো নোটিশের জবাবও দিচ্ছেন৷ তাই, ত্রিপুরা পুলিশ এখন উচো আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে৷ উচ্চ আদালত দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়ে আই-প্যাকের ২২ জন কর্মচারীকে নোটিশের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে৷
এ-বিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে বলেন, আই-প্যাকের ২২ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় কোভিড বিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৬ জুলাই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল৷ তাঁদের থানা থেকে জামিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও তাঁরা আদালতে গিয়ে জামিন নিয়েছেন৷ মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করার বিনিময়ে তদন্তে সহযোগিতা করার শর্ত বেঁধে দিয়েছিল৷ কিন্ত জামিন পাওয়ার পর থেকে তাঁদের কারোর সাথে পুলিশের যোগাযোগ সম্ভব হয়নি৷
তিনি বলেন, ত্রিপুরা পুলিশ ওই ২২ জনকে দুই বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআরপিসি ৪১ ধারা মোতাবেক হাজিরা দিতে নোটিশ পাঠিয়েছিল৷ কিন্ত তাঁরা নোটিশের জবাবও করেননি এবং থানায় এসে হাজিরাও দেননি৷ তাই, উপায় না পেয়ে ত্রিপুরা পুলিশ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে৷ আজ উচ্চ আদালতের বিচারপতি এস জি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে পুলিশের আবেদনের শুনানি হয়েছে৷ আদালত আই-প্যাকের ২২ জন কর্মচারীকে নোটিশ পাঠিয়েছে৷ তাঁদের দুই সপ্তাহের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত, বলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল৷